অথই নূরুল আমিন
কথায় আছে ঘরের শত্রু..। ওবায়দুল কাদের এমন একজন ব্যক্তি। যার প্রতিটা কথায় যেমন রয়েছে অসামাজিকতা তেমনি রয়েছে অসুন্দর এবং প্রয়োজনীয় কথার চেয়ে অহংকারী ভাষাই তিনি বেশি ব্যবহার করেন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কোনো দায়িত্বই পালন করেন না। এবং কখন কোথায় কোন কথা বলতে হবে। তাও তিনি জানেন না। দেশের মানুষ লক্ষ্য করে দেখেছে। ওবায়দুল কাদের যখন কথা বলে তখন যেন তার রাগান্বিত ভাব থাকে। এবং প্রতিটি কথাই যেন সবসময় কোনো একটা গুষ্ঠিকে ইঙ্গিত করে বলা। এখানে ফুটে উঠে তার মুর্খতার স্বভাব।
দেশের সর্ব শ্রেণির অপছন্দের একজন লোকের নাম ওবায়দুল কাদের। গত পনেরো বছর ধরে তার নাবালকী বেফাঁস কথাবার্তা চলছে তো চলছেই। এই ধরনের বেফাঁস কথাবার্তা জনগণ শুনছে আর বলছে এসব কথা তো শেখ হাসিনার শিখিয়ে দেয়া কথা।
একজন ব্যক্তি ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় দেশের সকল ত্যাগী আওয়ামী নেতাকর্মীরা ঝরে গেল। টাকায় বেচাকেনা হলো দেশের সকল কমিটি। সড়ক বিভাগের নব্বই ভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামায়াত বিএনপির।
ওবায়দুল কাদের না দায়িত্ব পালন করেছে। দল গঠনে। না যাছাই করতে পেরেছে। নিজ মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। শুধু শুধু অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলে শেখ হাসিনার পাহাড় সমান ইমেজ নষ্ট করেছে।
ওবায়দুল কাদের এমন একজন ব্যক্তি গত পনেরো বছরে তার কাছ থেকে দেশের মানুষেরা কোনো দিক নির্দেশনা মতো কোনো কথাই শুনতে পায়নি। তার মুখে ছিল শুধু বিএনপি আর বিএনপি জামায়াত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানেই। দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে তার থাকবে সম্মান। তার প্রতিটা কথার ওজন থাকবে পাহাড় সমান। তার প্রতিটা শব্দ উচ্চারণে আসবে দেশপ্রেম। প্রতিটা ভাষণ হবে শিক্ষামূলক। তার কথা শুনে সমগ্র জাতি দেখবে আশার আলো। যার প্রতিটা কথায় দেশের সকল মানুষ থাকবে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। যার প্রতিটা ভাষণ শুনে দেশের মানুষ আনন্দ চিত্তে করতালি দেয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হবে।
তা আর হলো না। ওবায়দুল কাদের যে একজন শিক্ষিত মানুষ। তা আজকে আর দেশের মানুষ মনেই করছে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার পরেও দলের 90% নেতাদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক নেই। এছাড়া বিশেষ করে ওবায়দুল কাদেরের অসহযোগিতার কারণে, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ. কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগসহ অসংখ্য সংগঠন আজকে বিলুপ্তির পথে। তার বিরুদ্ধে কোনো নেতারা মুখ খুলছে না। কথায় আছে না। বিড়ালের মেঞ ধরবে কে?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠে ওবায়দুল কাদের নিজেই মীরজাফর নিজেই মোহন লাল নিজেই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কমান্ডার। ত্রি ইন ওয়ান। একের ভিতরে তিন।
একজন ওবায়দুল কাদেরের মন্দ মুখের ভাষার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি জনগণ ক্ষুব্ধ। এদিকে দলের খবর না রাখার ফলে দল শক্তিহীন হলো এবং হাইব্রীডদের দখলে আওয়ামী রাজনীতি চলে গেলো। অন্য দিকে দেশের চারলেন ছয় লেন আট লেন রাস্তার কাজে চলছে মহাসমারোহে দুর্নীতি। শেষ ভালো যার সব ভালো তার। দেখি সামনে কি হয়।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
27/ জুলাই 2024
Leave a Reply