1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সোহেলের মৃত্যু ।

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৯ বার শেয়ার করা হয়েছে।
সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টার

পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট মাহমুদুর রহমান খান সোহেল। চাকুরী করছেন বেসরকারী একটি এয়ারলাইন্সের কার্গো বিভাগে। পরিবারে মধ্যে যেমন ছিলেন অনেক আদরের, তেমন এলাকায়ও ছিলে সকলের খুব প্রিয় একজন মানুষ। সব সময় গরীব অসহায় মানুষের থাকতেন তিনি। সারা দেশে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় তখন তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে যোগ দেন আন্দোলনে। গত ৪ আগষ্ট রাজধানীর উত্তরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সাথে মিলে সংস্কার আন্দোলনের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় সোহেল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন সে। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় নেমে আসে শোকে ছায়া।

জানাযায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ত্রিশকাহনীয়া এলাকার বকুল খানের ছেলে মাহমুদুর রহমান খান সোহেল। চাকুরী করতেন ইত্তিহাত এয়ারলাইন্সের কার্গো বিভাগে। সেই সুবাদে স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন রাজধানী উত্তরা এলাকায়। গত ৪ আগষ্ট বাড়ী থেকে কোন কিছু না বলে বের হয় সে। বেলা ১২টারদিকে সে তার বন্ধু রনিকে ফোন করে বলেন ভাই আমি ছাত্রদের সাথে উত্তরা আছি আন্দোলন করতেছি, বাচঁলে দেখা হবে। এটাই ছিল তার সে কথা। এর কিছুক্ষন পরেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় সোহেল। গুরুতর অবস্থায় তাকে শিক্ষার্থীরা নিয়ে যায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টারদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযান তিনি। এদিকে তার পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শনিবার সকালে নিজ বাড়ী ত্রিশকানীয় এলাকায় নামাযের জানাযা শেষে দাফন করা হয় তার।

তার মৃত্যুতে বাড়ীতে পরিবারের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশা। কিভাবে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেচেঁ থাকবে। কিভাবে সন্তানদের করবেন মানুষের মত মানুষ।বাবার কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পডুয়া একমাত্র ছেলে মাসনুন রহমান খান। তার বাবাকে যারা হত্যা করেছেন তার বিচার দাবী করেছেন সরকারের কাছে।

আপন ছোট ভাইকে হারিয়ে এনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন বড় ভাই শামীম। তার ভাইকে যারা গুলি করে হত্যা করেছেন তাদের বিচার দাবী করেছেন তিনি।সোহেলকে যারা হত্যা করেছেন তাদের সঠিক বিচার দাবী করেছেন ও সরকার যেন তার পরিবারের জন্য কিছু করেন এ দাবী করেছেন তার বন্ধু স্থানীয় ব্যক্তিরা।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি