1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ সাইকচাইলে বিধবা রহিমা খাতুনকে স্বামীর ভিটে থাকতে বাধা দিয়ে হয়রানী করে প্রতিবেশীরা সু বিচার প্রার্থী হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীর সফল অপারেশন সম্পন্ন বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় পাকা রাস্তা যানবাহন চলাচলে চরম দূর্ভোগ সন্তান ফিরে পেতে আদালতের শরণাপন্ন হলেন ‘মা’ পাকুন্দিয়া বজ্রপাতে বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২ পাকুন্দিয়ায় পারভেজ হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।  নান্দাইলে বিয়ের প্রলোভনে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ ‘নির্বাচন বিলম্ব করার সঠিক হবে না’ রূপগঞ্জে হবধূর মরদেহ রাস্তায় ফেলে পালানোর সময় স্বামী-শাশুড়ি আটক বন্দরে মশার কয়েলের আগুনে পুড়ল আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাড়ি

নান্দাইলে পোল্ট্র্রী কোম্পানির সিন্ডিকেটে প্রান্তিক খামারীদের ব্যবসায় ধ্বস।

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯৪ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির বিশেষ প্রতিনিধি:

[ প্রতি কেজিতে লস হচ্ছে ৫০/৬০ টাকা ]
[ আগ্রহ হারাচ্ছে খামারি ও উদ্যোক্তরা ]

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার প্রান্তিক পোল্ট্রী খামারীদের ব্যবসায় ধ্বস নেমে এসেছে। পোল্ট্রী কোম্পানির ফিড, ঔষধ ও মুরগীর বাচ্চার বাজার দর সিন্ডিকেটের কারণে ব্যবসায় এমন ধ্বস নেমে আসার অভিযোগ করেন প্রান্তিক খামারীরা। ফলে পোল্ট্রী খামারীরা তাদের ব্যবসা থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এমনকি নতুন উদ্যোক্তরাও পোল্ট্রী ব্যবসায় নামতে ভীতস্থবোধ করছে। সরজমিন গিয়ে জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ শতাধিক পোল্ট্রী খামার রয়েছে। এসব খামারী ও উদ্যোক্তরা ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীর পোল্ট্রী ফার্ম রয়েছে। খামারীরা দেশে মাংস তথা আমিষের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে পোল্ট্রী খামারে মুরগীর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে করে লাভের মুখ দেখার পরবর্তীতে লসের ভাগ তথা ক্ষতির সম্মুখীনই হচ্ছে বেশি। ফলে অনেক খামারী ফার্ম চালানো বন্ধ করে দিয়ে বিদেশে যাত্রা করছে। জানাগেছে, বাজারে মুরগীর মাংসের ধর প্রতি কেজিতে ২/৫ টাকা বাড়লেই পোল্ট্রী কোম্পানির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা মুরগীর বাচ্চার দর প্রতি পিসে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা এমনকি ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া পশু-পাখি খাদ্য তথা পোল্ট্রী ফিডের দামও প্রতি বস্তায় ২০/৫০ টাকা বাড়ানো হয়। ৫০ কেজির এক বস্তা মুরগীর খাদ্যের দাম সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৩শত টাকা। শুধু তাই নয় এদিকে মুরগীর ঔষধের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মুরগীর বাচ্চা ক্রয়, খাদ্য ও ঔষধ খরচ সহ সর্বপরি উৎপাদন খরচের তালিকায় এক কেজি ১০০ গ্রাম সোনালী মুরগী প্রস্তুত করতে ২ মাসে খরচা পড়ে ২৩০/২৪০ টাকা কেজি। আর বাজারে পাইকারী বিক্রী হয় ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা বা ১৮০ টাকা ফলে প্রতি কেজিতে ৫০টাকা থেকে ৬০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে খামারীদের। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগীতে প্রতি কেজিতে ২০/৩০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তবে কিছুটা লাভের মুখ দেখছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। কিন্তু খামারীরা আছে লসের মুখে। এ বিষয়ে গাংগাইল ইউনিয়নের প্রান্তিক পোল্ট্রী খামারের মালিক ইফেতেকার মামুন, জিয়াউল হক পারভেজ, মোহাম্মদ লিটন ও আশরাফ মিয়া সহ অনেক খামারীরা জানান, কোন কারণবশত মুরগীর মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ২ টাকা বা ৫টা বাড়লেই, মুরগীর প্রতি পিস বাচ্চার দাম ১০ টাকা ২০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে করে সোনালী মুরগীর প্রতি পিস বাচ্চা কিনতে হয় সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা, আর ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চা কিনতে হয় বর্তমান বাজারে ৩৪ টাকা থেকে ৩৭ টাকা। তার উপর পোল্ট্রী খাদ্যের দামও আকাশচুম্বি। ফলে সিন্ডিকেটের কারনে পোল্ট্রী ব্যবসায় ধ্বস নেমে এসেছে। এ বিষয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: হারুনর রশীদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাকে লাইনে পাওয়া যায়নি। তবে ভেটেরিনারি সার্জন ডা. অমিত দত্ত তিনি বলেন, পোল্ট্রী কোম্পানির সিন্ডিকেটের বিষয়টি তো আমাদের নয়, এটা দেখবে মন্ত্রণালয়। এরপরেও আমরা চেষ্টা করছি, প্রতিবেদন আকারের খামারীদের দাবীগুলো তুলে ধরার।
ছবি-সংযুক্ত

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি