দেশের মূলধারার রাজনীতি বলতে আমরা কিন্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি পযর্ন্ত বুঝি। এরকম এর আগে একসময় জাসদের খুব প্রভাব ছিল। এছাড়া স্বাধীনতার পর বেশকিছু রাজনৈতিক দল একসময় মোটামুটি সক্রিয় ছিল। তবে আজকে কিন্তু আর কোনো দলের একক কোনো রাজত্ব দেশে নেই।
এমনকি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করাও খুবই কঠিন হয়ে পরেছে। কারণ জনগণ এখন আর নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়াতে রাজী নয়। আমরা দুইহাজার সাল থেকে দেখে আসছি বেশকিছু নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হয়েছিল। ঢাকডোল পিটিয়ে। তারপর ওয়ান ইলেভেনের সময় আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল গঠন হয়েছিল। তারাও ব্যর্থ হয়েছে। আজকে অনেকের দলের অফিস তো দূরের কথা সাইনবোর্ড পযর্ন্ত নেই।
সেই সকল দলের ভাটা স্রোতের টানে আজকে কিন্তু হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ কোনঠাসা হয়ে পরেছে। এখান থেকে ঐ রাজনৈতিক দলটা আর কখনও তার আগের জৌলুসে ফিরতে পারবে না। কারণ দলের ত্যাগীরা আজকে যেমন হতাশায় তেমনি অনেকের রয়েছে মান অভিমান। এছাড়া আগামী যুবকেরাও আর রাজনীতি মুখর হবে না। শুধু সময়ের অভাবের কারণে।
এদিকে হঠাৎ করে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা তারা দখল বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে। চাদাবাজী শুরু করেছে। এসকল কর্মকান্ডে এক শ্রেণির সাধারণ মানুষেরা আজকে বিএনপি নিয়েও হতাশ হচ্ছে।কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এই ক্ষুব্ধ থেকেই কিন্তু আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে।
এককথায় বলা ছলে। দেশের মানুষেরা আর চুরি বাটপারীর রাজনীতি পছন্দ করছে না। কারণ দেশের মানুষ এতটুকু বুঝে গেছে। রাজনীতি হচ্ছে বিনা পূজির একটা বিজনেস প্রতিষ্ঠান। ওদের নিজেদের কোনো পূজি নেই। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাবে। তারপর জনগণের মাথায় কাঁঠাল রেখে মন্ত্রী এমপিরা খেয়ে যাবে।
তাই তৃণমূলের ষাট ভাগ জনগণ আজকে আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি নিয়ে আর ভাবছে না। এই ষাট ভাগ জনগণ রাজনীতিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করেছে। গত ৫ আগষ্ট এর পর থেকে ঐ লোকগুলো রাজনীতি নিয়ে চায়ের দোকানে আলাপ করতেও বাধ্য নয়।
দেশের এই ষাট ভাগ আজকে আর দেশ নিয়েও কোনো স্বপ্ন দেখছে না। তার কারণ আওয়ামী লীগ দির্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে সবচেয়ে বেশি শোষণ করেছে দেশের ঐ গরিব লোকগুলো কে পণ্যের দাম বাড়ানো থেকে শুরু করে ঘুষ বাণিজ্য। পুলিশ হয়রানি। নিজের দলীয় লোকদের চাদাবাজী দালালীসহ এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে শেখ হাসিনার আমলে তা হয়নি। তাই দেশের জনগণ আজকে আর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনো ভরসা রাখতে পারছে না। আজকে তাদের ড. ইউনূস নিয়েও ভাল মন্ধ বলছে না। তবে অনেকেই বলছে। শেখ হাসিনা গত পনেরো কি ষোল বছরে এই জাতির একতা দেশপ্রেম সামাজিকতা দুর্নীতি নষ্ট সহ যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে। সে পরিমাণ ক্ষতি অন্য কেউ একশ বছরেও করতে পারবে না। যার জন্য ইউনূস সরকার নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
১২/০৯/২০২৪
আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন
Leave a Reply