1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

নান্দাইলে ১৮ বছর যাবত শিকলবন্দী  প্রতিবন্ধী জামির উদ্দিন।

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৫ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির বিশেষ প্রতিনিধিঃ

[ টাকার অভাবে হচ্ছেনা চিকিৎসা ]

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের আলীহরগাতী গ্রামের দীনমজুর রমজান আলী’র ছেলে প্রতিবন্ধী জামির উদ্দিন ১৮ বছর যাবত শিকলবন্দী জীবন-যাপন করছেন। মাথার সমস্যা থাকায় জামির উদ্দিন সাত বছর বয়স থেকে শিকলবন্দী হয়। টাকা পয়সার অভাবে দরীদ্র পিতামাতা জামিরের সঠিক চিকিৎসাও করাতে পারছেননা।
জানাগেছে, জামিরের পিতা দীনমজুর রমজান আলীর তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে জামির উদ্দিন (২২)২য় সন্তান। সে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। কিছুদিন পূর্বে মারা গেছে তার একমাত্র বোন। জন্মের পর থেকে জামিরের মাথায় কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে সে পাগলের মত আচরণ করত। কখনও বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে আবার ফিরে আসত। এ কারণে একবার সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয় সে।
সেজন্য ঝামেলা এড়াতেই পরিবারের লোকজন প্রতিবেশিদের সহায়তায় তার পায়ে শিকল বেঁধে গাছের সাথে তালা মেরে রেখেছেন। সারাদিন বাড়ির আঙ্গিনায় রোদ বৃষ্টি ঝড়ে একটি গাছের ছায়ায় তার থাকার নির্ধারিত জায়গা। সেখানেই গোছল,খাওয়া দাওয়া প্রাকৃতিক ডাকে সারা দেওয়া সবকিছইু সম্পন্ন হয়। শুধু রাতেই ঘরে যাবার সুযোগ মেলে তার। সকল সেবা শুশ্রষা তার বৃদ্ধ মা বাবা করে থাকেন।
জামিরের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, ছেলেটাকে নিয়ে তার মা-বাবা খুব কষ্ট করছেন। জামিরের মা জুলেখা আক্তার জানান, বৃদ্ধ বয়সে জামিরের সেবা শুশ্রষা করতে গিয়ে তিনি হাঁপিয়ে উঠেন। টাকা পয়সার অভাবে ছেলেটার সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি।
স্থামীয় ইউপি সদস্য নয়ন মিয়া জানান,জামিরের বাবার ভিটেমাটি ছাড়া কোন জমিজমা নেই। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এ ছাড়া জামিরের একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে। এসব দিয়ে কোনক্রমে চলছে পরিবারটি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ও মানসিক রোগ বিভাগের সাবেক রেজিষ্টার ও সহকারি অধ্যাপক ডাঃ হেফজুল বারী খান বলেন,জামিরের মত শতকরা ৮০ ভাগ রোগি চিকিৎসায় ভাল হয়ে যায়। আশা করি জামিরও ভাল হবে তবে এক্ষেত্রে তার দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি