মোঃ শাহজাহান ফকির বিশেষ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামের নিরীহ কৃষক আব্দুল মন্নাছ মীর ও তার পরিবারকে ভিটেমাটি থাকে উচ্ছেদ করার জন্য অতর্কিত হামলা, বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, লুটপাট ও হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুধু তাই নয়, তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে থানা পুলিশের দারস্থ হলে আসামিরা জামিনে এসে উক্ত কৃষক পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এলাকার সালিস-দরবার না মানা প্রতিপক্ষের লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষক পরিবারটি।
জানাগেছে, কাদিরপুর গ্রামের আবদুল মন্নাছ মীরের প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ নূরুল ইসলাম, হারিছ ও শফিক গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। কাদিরপুর মৌজায় ৩২৮ দাগে ১ একর ২৩ শতাংশ ভূমির ৩৯ শতাংশ জমি ভূলবশত বিআরএস রেকর্ড জরিপে নাম এসে যায় নুরুল ইসলাম গংদের। অথচ সিএস ও আরওআর মালিকানায় পৈত্রিক সূত্রে এই জমির মালিক আবদুল মন্নাছ মীর পরিবার। এ নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে বাড়ি-ঘর দখল সহ কৃষক পরিবারটিকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে নুরুল ইসলাম গং।
কৃষক আবদুল মন্নাছ মীর বলেন, নূরুল ইসলাম গং পরিবারের সদস্য আব্দুল কাদির নামে এক ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলেও এটিকে হত্যাকান্ড বলে কৃষক আবদুল মন্নাছ মীরের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ,লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি ওই কৃষক পরিবারের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৪০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় নূরুল ইসলাম গংরা উত্তেজিত হয়ে একের পর এক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ বসতঘর মেরামত করতে গেলে প্রকাশ্য দিবালোকে হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়। এমনকি দরবার সালিশে উপস্থিত একাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিকে উপেক্ষা করেও ইটপাটকেল ছুঁড়ে দরবার-সালিশ ভঙ্গ করায় জনপ্রতিনিধিগন সহ উপস্থিত সকলেই প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে প্রতিপক্ষ নূরুল ইসলাম গংদের অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নিরীহ কৃষক আবদুল মন্নাছ মীর ও তার পরিবার।
Leave a Reply