কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর কৃষিতে সম্ভাবনাময় অঞ্চল। এখানে ধান ও ভুট্টা চাষের সুনাম রয়েছে আমন বোরো মৌসুমে প্রায় ৮০ ভাগ জমিতে ধান ও ভুট্টা, পাট চাষ হয়। তবে এবার আমন ধান ক্ষেতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের আল আমীন( ৩০)।
আল আমীন পেশায় একজন অটোরিকসা চালক। অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষাবাদ করেছেন। তার স্ত্রী তাকে চাষাবাদে সাহায্য করেন। চাষাবাদের কারনে অটোরিকসা চালাতে কোন সমস্যা হয় না। সবজি চাষে তিনি একজন সফল কৃষক বলা যায়। চলতি মৌসুমে আল আমীন প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেন। সেখানে বড় দুটি মাচা করেছেন। কাদা বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বেড পদ্বতিতে কয়েক প্রজাতির হাইব্রিড জাতের লাউ গাছ রোপণ করা হয়েছে।মোট চারটি বেড রয়েছে দুটি চারা প্রতি চারা থেকে অন্যটির দুরস্ত প্রায় তিন ফুট শতক প্রতি ৪০০-৭০০ টাকা খরছ হয়েছে। ৪০-৪৫ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন দেয়। এর পরে ফলন কমতে থাকে। এই জন্য ৪ মাস পর পর নতুন কোন ফসলের চাষ করতে হয়। লাউ সারা বছর চাষ করা যায়। সব খরছ বাদ দিয়ে আল আমীনের এবছর প্রায় ২০ – ৩০ হাজার টাকা লাউ চাষে লাভ করবেন বলে ধারণা করছেন। আল আমীন জানান, শখের বসে এ চাষে গত বছর পরিক্ষামূলক লাউ চাষ করি। সেখান থেকে সাফল্য পেয়ে এ বছর প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করি। রোগ বালাই ও অন্যান্য সমস্যা ইউটিউব দেখে নিজে নিজেই সমাধান করি, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তা পেলে হয়তো আরো ভাল হতো । সব খরছ বাদ দিয়ে এ মৌসুমে লাউ চাষে আমি প্রায় ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারব বলে আশা করছি। হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহজাহান কবির বলেন, অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি কৃষি কাজে সফল আল আমীনকে সকল প্রকার কৃষি তথ্য ও অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply