রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ফুটপাত দখলের এই চিত্র পুলেরঘাট উপশহর নিত্যদিনের ঘটনা । এমনই একটি সড়ক কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের অন্যতম এলাকা পুলেরঘাট উপশহর। এই সড়কের পাশে অবস্থিত পুলেরঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন দুই পাশে দোকানগুলোর সামনে পান দোকান ,কসমেটিকস ও ফল দোকানের জন্য পথচারীদের হাঁটার নেই কোন সুযোগ । এই ফুটপাতেই আবার বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পথচারীদের চলাচল।
এ ছাড়াও মূল সড়কের পাশের অর্ধেক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশা ও রিকশার কারণে ভোগান্তি এখন চরম পর্যায়ে।
পথচারী ও এলাকাবাসীরা বলছে, ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের জন্য হলেও এখানে দোকান বসিয়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী । এসব ব্যবসায়ী কারা তা সবাই জানে কিন্তু কেউ কিছু বলে না। কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘর মালিকরা ফুটপাতের দোকান থেকে টাকা নিয়ে চুপ থাকে তাই নেই কোন প্রতিবাদ । ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালায় ঠিকই কিন্তু কোনো লাভ হয় না। এক পাশ থেকে অভিযান চালায়, অন্য পাশ থেকে আবার অবৈধ দখল শুরু হয়।
আজ বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশের ফুটপাত দখল করে বসে আছে প্রায় ২০টি অস্থায়ী পান দোকান, কসমেটিকস, ফল দোকান চাসহ অন্যান্য দোকান।
এলাকাটি সিএনজি, অটোরিকশা ফুটপাতের দোকানগুলোর জন্য পথচারীদের হাঁটার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে স্থানীয় অধিবাসী সোহেল মিয়া বলেন, ‘ফুটপাত মানুষের হাঁটার জন্য—এটা সবার জানা। আবার এটাও সবার জানা যে এটি সব সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দখল করে রাখে, তারাই এ সুযোগটিকে কাজে লাগায়।
এভাবেই চলছে, আর হয়তো চলবেও। মাঝখানে যত ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। কিন্তু এই বিষয়গুলো কে বা কারা সামনে আনবে অথবা স্থায়ী সমাধানের কথাই বা কারা ভাববে—এটা কেউ জানে না। দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব এড়িয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে বাঁচতে চায়। কারা এসব দোকান বসাচ্ছে বিষয়টি জানার জন্য পথচারী, তথ্য না দিতে পারলেও পুলেরঘাট বাজার বনিক সমিতির কেউ এই বিষয়ে খবর লক্ষ রাখে না । এখানকার ফুটপাতে বসা ফল দোকানি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, দোকান বসাই ঘর মালিককে টাকা দেওয়া লাগে। ঘর মালিকরা এসে টাকা নেয়, আমার দোকানদারি করা দরকার তাই করি। তাই টাকা দিই ভাই,
একদিকে অস্থায়ী দোকান, অন্যদিকে ফুটপাতেই রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। যার জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পথচারীদের চলাচল। যেমনটা বলছিলেন কালিয়াচাপড়া চিনির কল উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুমন এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফুটপাতের মধ্যে যদি খুঁটিই দেবে! তবে ফুটপাত দিয়ে লাভ কি? শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামায় সরকার সচেতন হয়ে আইন সংশোধনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে; কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রয়োগ নেই।
ফুটপাত অস্থায়ী দোকানিদের দখলে আর মূল সড়কের পাশের অর্ধেক দখল করে দাঁড়িয়ে আছে রিকশা। তাই রাস্তার পাশ দিয়েও হাঁটার সুযোগ নেই। মসজিদ যাচ্ছিলেন রহমান, তিনি বলেন, ‘ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারি না। একদিকে জায়গা নেই, অন্যদিকে কিছু মানুষ অহেতুক ধাক্কা দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে চলাফেরা করায় খুব সমস্যায় পড়তে হয়। সব সময় কিছু বলাও যায় না। এই সড়কটিতে রিকশার জন্য নিচের পথটিও ব্যবহার করা যায় না। দুর্ঘটনার ভয় থাকে। তাই পথ চলতে বলা যায় এক ধরনের যুদ্ধই করতে হয় নারীদের।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে পুলেরঘাট বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন ভূইয়া বলেন, আগে পরিষ্কার করিয়েছি কিন্তু এখন আবার দোকান বসে গেছে। মাঝেমধ্যেই অস্থায়ী দোকানগুলো উঠিয়ে দিলেও আবার বসে যায়। প্রশাসন এখানে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে এমনটা হতো না। আর স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে দোকান বসার সুযোগ করে দিচ্ছে। পেছনে বড় ধরনের শক্তি না থাকলে উঠিয়ে দেওয়ার পরপরই এভা
Leave a Reply