ছোট ছোট কোমলমতি প্রাথমিকের মেয়ে শিক্ষার্থীদের দেখাতেন অশ্লীল ভিডিও এবং অফিস রুমে নিয়ে হাত দিতেন গোপনাঙ্গে। এমনকি কোলে বসিয়ে পাশবিক যৌন নির্যাতন করতেন মেয়ে শিক্ষার্থীদের। মেয়েদের টয়লেটেও প্রায়ই ঢুকে যেতেন প্রধান শিক্ষক।
এসব নোংরামির কাউকে কিছু বললে মারধরের ভয় দেখাতেন, জানালা দিয়ে অন্য শিক্ষার্থী দেখে ফেললে তাকেও লাঠি দিয়ে পেটানো হতো। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতন করে পাঁচ থেকে দশ টাকা হাতে ধরিয়ে দিতেন মজা খেতে। দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ের অফিসে এমন ন্যাক্কারজনক করতেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষার্থীরা মারধরের ভয়ে এতোদিন মুখ খুলতে পারেননি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমতে থাকে এই শিক্ষকের নোংরামির জন্য। এমনই ভয়ংকর অভিযোগ করেন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ২৫নং জারইতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্কুলটির মেয়ে শিক্ষার্থীরা।
২ ডিসেম্বর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক মেয়ে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে প্রথমত অভিযোগ তুলে। এরি মধ্যে আরেকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক তার মেয়েকেও যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছেন বলে প্রথমে মৌখিক অভিযোগ তুলেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা একেএকে মুখ খুলতে শুরু করে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগের বিষয়গুলো জানতে চাইলে তিনি একে একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। জেলা শিক্ষা অফিসার মজিব আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি ঢাকার উপর মহলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত দিবেন।
Leave a Reply