কিশোরগঞ্জে কটিয়াদীতে বিয়ের গাড়িতে তৃতীয় লিঙ্গ খ্যাত হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বিয়ের গাড়ী ও সাধারন যাত্রীরা। প্রতিদিন দলবেঁধে কোনো বাসের গাড়ি যাত্রী না কোনো বিয়ের গাড়ীতে চাঁদাবাজি করে তারা। এদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মারমুখী আচরণে আতঙ্কিত ও বিব্রত হয়ে বিয়ের যাত্রীরা বাধ্য হয় চাঁদা দিতে।
হিজড়াদের চাঁদাবাজির কারণে অনেক জায়গায়ই লাঞ্চিত হচ্ছে শত শত ভদ্র পরিবার। লোক লজ্জার ভয়ে অনেক সময় চুপ করে নিরবে সহে যান অনেকে। আবার অনেকে প্রতিবাদও করেন।
বিশেষ করে বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠান হলেই সে স্থানে তাদের আগমন হয়ে যায় এক প্রকার ক্যাডারের মত। এ সব অনুষ্ঠানে হাজার টাকার নিচে দিলেই শুরু হয় অত্যাচার। বিয়ের গাড়িতে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন হিজড়াদের চাঁদাবাজ দল। বরের গাড়ি দেখা মাত্র শুরু করেন তাদের অশ্লীল কান্ড। এতে গাড়ি রাস্তায় এবং বিয়ের সেন্টার থেকে দফায় দফায় বড় অংকের চাঁদা আদায় করেন হিজড়া নামধারী সন্ত্রাসীরা। মান-সম্মানের ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
গতকাল রবিবার (১৫ই ডিসেম্বর ) রাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে মেইন সড়কে থেকে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের গাড়ি হিজড়াদের কবলে পড়ে বরযাত্রী গাড়িটি। এ সময় বরের গাড়িটি আটক করে বড় অংকের টাকা দাবী করে হিজড়ারা। এই হিজড়াদের কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে।প্রকাশ্যেই কাপড়-চোপড় খুলে ফেলছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে প্রকাশ্যে বরের গাড়িতে পেচ্ছাব করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে ,বিশেষ ভঙ্গিতে হাততালি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
বরযাত্রী গাড়ির ড্রাইভার মোঃকালাম বলেন, এই হিজড়াদের উৎপাতে আমরা কটিয়াদী বাস স্ট্যান্ড বরযাত্রীর গাড়ি নিয়ে কোথাও যেতে পারতেছিনা। তাদের যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ।টাকা না দিলে আমাদের গাড়ির সামনে এসে উলঙ্গ হয়ে যায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি এতে করে তাদের অশালীন ভাষায় আর উলঙ্গ দেখলে আমাদের ইজ্জত বাচ্চানো দায় পড়ে।
এই হিজড়া নামধারী চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন কটিয়াদী সচেতন মহল।
Leave a Reply