1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা মঞ্চে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে কিশোরগঞ্জে বিতর্ক

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৬ বার শেয়ার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগপন্থী এক মুক্তিযোদ্ধার ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সংবর্ধনার পটভূমি

মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় অংশ নেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ বি ছিদ্দিক, ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

স্লোগানে নতুন বিতর্কের জন্ম

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। তার এই স্লোগানের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা। তবে স্লোগান দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখা গেলেও, ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

বিভিন্ন পক্ষের প্রতিক্রিয়া

একাংশের অভিযোগ, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগেও জেলা প্রশাসককে সতর্ক করেছি, কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। প্রশাসনের এই ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যায় না।’

অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে প্রতারণা। প্রশাসনে দলীয়করণ এখন স্পষ্ট।’

ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়ার ব্যাখ্যা

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘এটি নিছক বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলে ফেলেছি। ২০২৪ সাল আর ১৯৭১ এক নয়। আমরা তখন প্রাণ দিয়ে যুদ্ধ করেছি।’

জেলা প্রশাসকের অবস্থান

স্লোগান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘আমি স্লোগান শুনিনি। আমার কাছে এ বিষয়টি জানা নেই।’

সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মতো স্পর্শকাতর আয়োজনে রাজনৈতিক স্লোগান কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই বিতর্ক আরও দীর্ঘায়িত হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ঘটনাটি প্রমাণ করে, রাজনৈতিক বিভাজন এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যকে প্রভাবিত করছে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি