আফজালুর রহমান উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধি রং:
কেউ মান বা না মান আজ আমার বসন্ত, এমনটিই জানান দিচ্ছে প্রকৃতি তার আপন মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে, শীতের মন্থর,জীর্ণতা কাটিয়ে মাথা নাড়া দিয়ে উঠতে শুরুকরেছে বৃক্ষরাজী,বনরাজী ও প্রাণীকুল।শীতের আবরণ সরিয়ে প্রকৃতি ধীরে ধীরে উন্মোচন করছে তার নিজস্ব রঙিন রূপ।আকাশে টান টান তেজশ্রী সূর্য। ফাল্গুনের বাতাসে মিশে আছে নতুন ঋতুর সজীব বার্তা। পলাশ, শিমুলের রঙিন আভায় চারপাশ সেজেছে নতুন রূপে। বসন্তের আগমনী ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতির আনাচে-কানাচে, আর প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে জাগিয়ে তুলছে উচ্ছ্বাস।
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব জায়গাতেই চোখে পড়ে, প্রকৃতির ক্যানভাসে বসন্ত তার রঙের তুলিতে এঁকে দিচ্ছে প্রাণময় এক দৃশ্যপট। কোকিলের মধুর কূহুকূহু ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারদিক। ফুলের বাগানে ভ্রমরের ব্যস্ত আনাগোনা। গাছের ডালে ডালে শোভা পাচ্ছে টকটকে লাল পলাশ আর আগুনরাঙা শিমুল। সব কিছুতেই ফুটে উঠছে ঋতুবদলের অপূর্ব সৌন্দর্য। বসন্তের এই আনন্দ আয়োজন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। নতুন রঙে, নতুন গন্ধে, নতুন সুরে প্রকৃতি যেন প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তুলেছে।
শংকরদিয়া গ্রামের আনোয়ারা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুভ আহমেদ, রতন চন্দ্র হালদার ও তাপস মন্ডল বলেন, আমাদের নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটা গ্রামের আনাচে কানাচে থেকে শুরু করে কাঁচা পাকা রাস্তার দু পাশের গাছপালায় বসন্তের আবেশ ছড়িয়ে পড়েছে । আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধ আর পিঠাপুলির সুগন্ধে গ্রামীণ জীবনে বসন্তের আনন্দ যেন আরও গভীর হয়ে উঠছে । এভাবেই ঋতুরাজ বসন্ত আসে প্রকৃতি ও মানুষের হৃদয়ে।
Leave a Reply