1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

শেরপুরের বাজিতখিলায় বিজিএফের চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ 

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৯ বার শেয়ার করা হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিঃ

শেরপুর সদর উপজেলার ৩নং বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বরাদ্দকৃত ঈদুল ফিতরের উপহার (ভিজিএফ) চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। সঠিক তালিকা প্রস্তুত না করে এবং প্রকৃত দরিদ্র মানুষের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ না করায় ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

অভিযোগকারীরা জানান, দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল প্রদানের লক্ষ্যে ভিজিএফের ৩ হাজার ৭ শত ৩০ টি কার্ড বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত ভিজিএফের অধিকাংশ কার্ড চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তাদের আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের লোকজনদের মধ্যে বিতরণ করেন। এতে প্রকৃত দু:স্থ অসহায় লোকজন বাদ পড়ে। এতে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, আব্দুল জলিল নামে এক চাউল সিন্ডিকেটের সদস্য ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারনে ইউনিয়ন পরিষদের সমস্ত কাজ কৌশলে ভাগিয়ে নেন তিনি। তার মাধ্যমেই পরিষদ থেকে স্লিপের মাধ্যমে চালগুলো কৌশলে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেন। এসব অনিয়ম করার জন্যই বাজিতখিলা ইউনিয়নের টেগ অফিসারকে না জানিয়েই চাল বিতরণ কাজ শেষ করেছেন।

স্থানীয় সুলে বেগম নামে এক বিধবা মহিলা বলেন, ভোটের সময় ভোট নেয় কিন্তু কোনকিছু দেয় না চেয়ারম্যান- মেম্বাররা। আমি কার্ড পাইনি, তাও চাল নিতে এসেছিলাম।

তবে সেখানে শামসুল হক বলেন, আমরা কার্ড পাওয়ার যোগ্য আমরাই পাই না। আমাগো দুইডা গ্রামের কারোরই কার্ড দেয়নাই। ফকির, মিসকিন, লেংরা মানুষ আছে। কারোরেই কার্ড দেয়নাই। বিভিন্ন জায়গায়, জাগো ধন সম্পদ আছে তারাও পাইতাছে। ৪-৫ টা করে কার্ড দিচ্ছে, চাল নিয়ে এসে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাকে একটাও কার্ড দেয়নাই। আমরা এর বিচার চাই।

বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও সহকারি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াসাদ সাদাত হোসেনকে বিজিএফের চাল বিতরণে উপস্থিত রেখে বিতরণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান তাকে না জানিয়ে বিজিএফের চাল বিতরণ করেন।

এ বিষয়ে বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার সদর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিয়াসাদ সাদাত হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান যে কাজটি করেছেন সেটি নি:সন্দেহে ফ্যাসিস্টের মতো করেছেন। আমি বিজিএফের চাল বিতরণ সম্পর্কে কিছুই জানিনা। মূলত বিজিএফের চাল বিতরণ কালে আমাকে উপস্থিত রেখে বিতরণ করার কথা, সেখানে সেটি না করেই তার ইচ্ছামত বিতরণ করেছেন। আর সেখানে অনিয়ম হয়েছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।

৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আ. হালিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমাকে কোন স্লিপ দেয়া হয়নি। তাই আমি আমার ওয়ার্ডের হতদরিদ্র নারী পুরুষদের মাঝে কোন স্লিপ বিতরণ করতে পারিনি। তিনি আরও জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান যতদিন থেকে দায়িত্বে আছেন আমার ওয়ার্ডের লোকজনদের সবসময় বঞ্চিত করে রেখেছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মূল বিষয়টি উঠে আসুক এটাই চাই।

৩নং বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম বলেন, আমি যে বরাদ্দ পেয়েছি তা যথাযথ নিয়ম মতো বিতরণ করেছি। তবে চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ পাওয়ায় সবার মধ্যে শ্লিপ দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

এ বিষয়ে শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে এমন কোন লিখিতে অভিযোগ আসেনি তবে লিখিতো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি