1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

আমাকে ক্ষমা করে দেন” বলেই ধর্ষণের ঘটনার সমাধান ধর্ষকের বিচার চেয়ে লিফলেট বিতরণ 

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯০ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির স্টাফ রিপোর্টার:

সারাদেশে ভাইরাল চোর সিদ্দিকের উক্তি “আমাকে ক্ষমা করে দেন”। এরকমই উক্তি মিলেছে ধর্ষণের ঘটনায় ঘরোয়া সালিশে ধর্ষিতার পরিবারের নিকট ধর্ষকের মুখে উচ্চারিত বাক্য। জানাগেছে, এমনটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৫নং গাংগাইল ইউনিয়নের জলহরী গ্রামে। প্রায় দেড় মাস পূর্বে জলহরী গ্রামে দুই সন্তানের জননী তথা গৃহবধূ রাতের বেলায় ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়। এসময় ধর্ষিতার শ^াশুড়ি ধর্ষককে হাতে-নাতে দেখে ফেললে ওই মহিলাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষক চলে যায়। পরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবার হুমকির মুখে পড়ে আইনের আশ্রয় না নিয়ে নীরব থাকে। একপর্যায়ে ধর্ষকের পরিবার ঘরোয়াভাবে সালিশের মাধ্যমে ধর্ষককে ধর্ষিতার নিকট ক্ষমা চাইয়ে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। ধর্ষণের মতো ব্যাপার ঘটনাকে এভাবে ধামাচাপা দেওয়ায় এলাকার কতিপয় যুবকরা ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে এলাকায় ধর্ষকের ছবি সম্মিলিত লিফলেট বিতরণ করে। ধর্ষক জলহরী গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র মামুন মিয়া। মামুন মিয়া দুই সন্তানের বাবা, ঘরে তাঁর স্ত্রী সহ মা-বাবা পরিবার-পরিজন রয়েছে। তবে মামুন মিয়া নিজ এলাকায় দাপট খাটিয়ে চলে বলে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। এ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে ধর্ষিতার পরিবারের সাথে ও ধর্ষকের পরিবারের সাথে কথা বললে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ধর্ষিতার শ^াশুরি ও চাচা শ^শুর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা সমাধান হয়েগেছে, আমরা নিজেরাই সালিশের মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছি। তবে হুমকির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। অপরদিকে ধর্ষকের পিতা কালা মিয়া এ ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, অনেক আগেই এর সমাধান হয়েছে। এটা নিয়ে লিখলে আর কি হবে ? এ দিকে ধর্ষক মামুন মিয়ার সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধর্ষণ ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। কে বা কাহারা আমার বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করেছে তা আমি জানিনা। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই মাত্র শুনেছি। ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি