1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ডিমলায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিহত-১  এবার জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে অব্যাহতি পবিত্র হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন কিশোরগঞ্জ লিগ্যাল এইড দিবস উদযাপিত নান্দাইলে শিক্ষার মান উন্নয়নে ইউএনও’র আকস্মিক স্কুল পরির্দশন

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তরা খসে শিক্ষিকা ও শিশু সন্তান আহত

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২০৯ বার শেয়ার করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে এক শিক্ষিকা ও তার নয় মাস বয়সি শিশুসন্তান গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আহত শিক্ষিকার নাম রেহানা পারভীন (৩২)। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার ছেলে সাদাত হোসেনের বয়স নয় মাস। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় রেহানা পারভীনকে প্রথমে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশু সাদাত হোসেন সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগেও ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর টিনশেড ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চার কক্ষবিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে। তবে ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবনের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারা বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিলেও নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আজ সকাল দশটার দিকে শিক্ষিকা রেহানা পারভীন অফিস কক্ষে তার সন্তানকে কোলে নিয়ে পরিচর্যা করছিলেন। এ সময় জানালা বন্ধ করতে চেয়ার থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে তার মাথায় পড়ে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার নয় মাস বয়সী ছেলেও আঘাত পেয়েছে। এর আগেও পলেস্তারা খসে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, “আমরা খুব শিগগিরই ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব। পরিদর্শনের পর ঝুঁকিপূর্ণ দুটি কক্ষে আপাতত অফিস ও পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।”

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি