নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯৭৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা কটিয়াদী উপজেলা'র আচমিতা ইউনিয়ন গনেরগাঁও গ্রামে মোস্তফা বয়াতি' জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানা বর্তমান তারাবো পৌরসভা বরাবো গ্রামে একটি ডাইনিং ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন তারপর ১৯৯২ সালে পীরে কামেল কামেলে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি মাখদুম মোহাম্মদ খাজা ইসরাইল চিশতী নিজামী সাহেবের হাতে বায়াত গ্রহণ করেন তারপর পীর সাহেব নিজে ওস্তাদ পীর শাহ্ সুফি মোহাম্মদ লাল মিয়া বয়াতি চিশতি নিজামী সাহেবের কাছে গান শিখার জন্য এবং তরিকতের জ্ঞান লাভ করার জন্য নিজে তুলে দেন তারপর থেকে তার সঙ্গে গান চর্চা শুরু হয়। মোস্তফা বয়াতি সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় পালা গান করতেন ২০০৭ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে অডিশন এর মাধ্যমে পল্লীগীতি শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তার ক্রমিক নং ৯৩৪ এবং এটিএন বাংলায় দলীয় সংগীত করেন সাথে সাথে বাংলা একাডেমিতেও গান করেছেন তার জীবনে ৩৫ টি অডিও অ্যালবাম বাহির হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সর্বনাশা ভালোবাসা, ঝরা ফুলের মালা, ব্যর্থ প্রেমের জ্বালা, অন্যের ঘরে, আগুন জ্বলে বুকে মুর্শিদি, হাইরে নিঠুর ভালোবাসা, বাড়ির পাশে বিয়া কইরো না, বিরহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি মোস্তফা বয়াতি হঠাৎ ২০০৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তারপর থেকে প্রফেসার হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিহাদ খান স্যারের চিকিৎসা চলমান। তিনি কর্মরত অবস্থায় আছেন ইবনে সিনা হসপিটাল ধানমন্ডি ঢাকা বর্তমানে মোস্তফা বয়াতির অসুখটা নিয়ন্ত্রণে আছে প্রতিদিন অনেক টাকার ওষুধ খেতে হয় গান করা ডাক্তার সাহেবের নিষেধ তাই ২০১৬ সালে নিজ বাড়িতে একটি সঙ্গীত আলোয় গড়ে তুলেছেন এখানে প্রতি বৃহস্পতিবার ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে মোস্তফা বয়াতি বসেন তাতে যে সামান্য অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে কোনরকম তার সংসার চলছে তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিগণ যেন মোস্তফা বয়াতির দিকে এগিয়ে আসেন। সহযোগীতার জন্য সরাসরি মোস্তফা বয়াতী বিকাশ,নগদ,ও রকেট (০১৭১২৯৫৩২৯২) বাংলাদেশের শিল্পী বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু নজর কামনা করছি।