আফজালুর রহমান উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধি প্রতিনিধিঃ
হোসেনপুর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাদশ শ্রেণীর এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা; পরে ধর্ষক ও সহযোগীকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। পুলিশ ২ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তারা হলো ধর্ষক কিশোরগঞ্জ সদর থানার বিন্নাটি ইউনিয়নের কোট্রাগড় গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে সুমন(২৮) ও ধর্ষকের সহযোগী টুটিয়ার চর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে মো.শামীম (২২)। ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করেেল বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামিদ্বয়কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়; হোসেনপুর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর কলেজ পড়–য়া ছাত্রীর সাথে স্মার্ট ফোনের ফেইজবুকের মাধ্যমে ২ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বিবাহিত সুমন (২৮) এর সাথে। সুমন নিজকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দেয় ও বিবাহিত হওয়া সত্বেও তা গোপন রাখে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে; এভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গাজিপুর জেলার মেম্বার বাড়িতে এক ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার সহযোগী শামীমের সহযোগীতায় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়। এভাবে ধর্ষণের পর বুধবার ( ১০-০৭-২০২৪ইং) বিয়ের কথা বলে গাজিপুর থেকে সিএনজিতে করে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলে ওই কলেজ ছাত্রীকে; হোসেনপুর পৌর এলাকার দ্বীপেশ্বর গোলচত্তর এসে সিএনজি থেকে নেমে ধর্ষক সুমন ওই কলেজ ছাত্রীকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে ঠান্ডা আনার কথা বলে দাঁড়াতে বলে পালানোর চেষ্টা করে। আরেক জায়গায় পূর্ব থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষারত ধর্ষক সুমনের সহযোগী শামীমের গাড়িতে করে পালানোর ছুটে চলে। পরে ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী মোটরসাইকেল নিয়ে পিছু নিয়ে ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন এসকল তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের পিতা হোসেনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আসামীদ্বয়কে ধারা ৭/৯(১)/এর ২০০০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর (হোসেনপুর থানায় মামলা নং -৫ তারিখ: ১১-০৭-২০২৪ খ্রি:)মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারগারে প্রেরণ করা হয়।