অথই নূরুল আমিন
দেশের পূর্ণাঙ্গ বিষয় বিবেচনা করলে। দেশের সরকার জনগণ। দাবি জনগণের। এখানে ছাত্রলীগ কখনও ঢাল তলোয়ার হয়ে হুমকি ধামকি হাঙ্গামা করতে পারে না।
ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীর বিপক্ষে যেতে পারে না।
যেসকল ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। তাদের প্রতি আজকে ছাত্রলীগের ভালবাসা থাকবে। তাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে সরকারের সাথে প্রয়োজনে আলাপ আলোচনা করবে। তাহলে ছাত্রলীগ আরো বড় হবে। ছাত্রলীগের প্রতি নব প্রজন্মের আস্থা অর্জন হবে।
প্রশ্ন হলো বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কারা?
বাংলাদেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিপক্ষ নেই। আওয়ামী লীগের কোনো ভুল ধরে যদি কেউ কোনো কথা বলে। তাহলেই আওয়ামী লীগ ক্ষেপে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তি বা গুষ্ঠিকে আওয়ামী লীগ কটাক্ষ করা শুরু করে। এ যেন গায়ে পানি ছিটা না সওয়ার অবস্থা।
আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। 1975 এর পনেরো আগষ্টের পর থেকে 1996 থেকে 2001 এর পর থেকে 2008 পযর্ন্ত মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরাই তো কিছু পায়নি। তখন তাদের জীবন জীবিকা চলছে না। চলছে। আজকে স্বাধীনতার 53 বছর পর এই দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একজন সন্তান ও নেই যে তাদের চাকরি নেয়ার বয়স রয়েছে।
এখন চাকরি পাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনি। তাতে এই দেশের কারো কোনো আপত্তি নেই। শুধু 30% কোটা এখন 12% করে দেয়া হোক। দেশের মেধাবীরা সুযোগ পাক। মেধাবীরা জাতির বাতিঘর।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
17/07/2024