আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলি সৈন্যরা গাজা উপত্যকায় খান ইউনিস শহরে একটি অভিযানের সময় চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে দুইজন বেসামরিক নাগরিক এবং দুইজন তাদের সেনা সদস্য বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বৃহস্পতিবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় এই চারজনকে হত্যা করে তাদের মরদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
উদ্ধারকৃত মরদেহের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে আইডিএফ- বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন ৫৬ বছর বয়সী মায়া গোরেন ও ৩৩ বছর বয়সী ওরেন গোল্ডিন এবং সৈন্যদের মধ্যে ১৯ বছর বয়সী সার্জেন্ট কিরিল ব্রডস্কি ও ২০ বছর বয়সী স্টাফ সার্জেন্ট টোমার ইয়াকভ আহিমাস।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, সেনাবাহিনীর ৯৮ তম ডিভিশন এবং শিন বেট এজেন্সির সদস্যরা খান ইউনিসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করে। তবে আরও বিশদ বিবরণ দেয়নি আইডিএফ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
এরমধ্যে গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ১৬৯টি শিশু রয়েছে। বিনিময়ে ২৪ বিদেশিসহ মোট ১০৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলের দাবি হামাসের কাছে এখনো প্রায় ১১২ জন জিম্মি আটক রয়েছে। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে বাকী জিম্মিদের কতজন এখনো জীবিত রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা