মোঃ আল আমিন,জেলা প্রতিনিধি(গাইবান্ধা)
গাইবান্ধা জেলা সদর উপজেলার মোল্লার চর, ঘাগোয়া, কামারজানি ও গিদারি ইউনিয়নে বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদৎ হোসেন।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার সদর কৃষি অফিসার কৃষি অফিস সংলগ্ন গোডাউন থেকে কৃষকদের হাতে বিজ সহায়তা প্রদান করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন
এ বিষয়ে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদৎ হোসেন আলোকিত সমাচার পত্রিকা মোঃ আল আমিন কে জানান ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে কামারজানি, মোল্লার চর, ঘাগোয়া ও গিদারি ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা নদীর পানি ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৪০০ হে. ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ফলে জমির ফসল উৎপাদন হ্রাস হয়েছে।
উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন এলাকার সর জমিনে দেখা যায় যে
বর্তমান বন্যায় আউশ ধান ৯০ হেক্টর, আমন বীজতলা ৬৫ হেক্টর, পাট ৩২০ হেক্টর ও বিভিন্ন শাক সবজি ৫৫ হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে ৪৯৫৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সব মিলিয়ে ১৬০৬ (মেঃটন) ক্ষয়ক্ষতি হয়,
যার ক্ষতিগ্রস্ত বাজার মূল্য বাজার অনমানিক ৮ কোটি ৫৯ লক্ষ্য টাকা।
ইতিমধ্যে উৎপাদিত ফসলের ক্ষতি গ্রস্তের কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রনোদনা কর্মসুচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ ১৬ই জুলাই বিতরণ করা হয়েছে এছাড়াও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় সবজির বীজ সহায়তা প্রদান চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ময়লা/আবর্জনা পরিস্কার করে নিমজ্জিত ফসল/ গাছের পাতায় জমে থাকা কাদা পরিস্কারের জন্য পরিস্কার পানি দিয়ে স্প্রে করতে হবে, উচু জমিতে আমন বীজ তৈরী করতে হবে।
যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জমিতে রোপানকৃত আমন চাষের সুযোগ নেই তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামি রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় সরিষা/গম/ভুট্টা/ বোরো চাষে বীজ ও সার দেওয়া হবে বলে কি কৃষি কর্মকর্তা জানান ।