সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ১-১ গোলে সমতা ছিল।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত।
আনফা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। আসাদুল মোল্লা দারুণ এক গোলে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেন। এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় বাংলাদেশেরই প্রাধান্য ছিল। দারুণ ফুটবল খেলেও এ সময় গোলের পরিষ্কার সুযোগ অবশ্য তৈরি করতে পারেনি। বিরতির পর দাপট দেখিয়ে ভারতও সমতায় ফেরে। তবে টাইব্রেকারে এসে বদলি গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফের নৈপুণ্যে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
তবে খেলা চলাকালীন ৬৫ মিনিটের মাথায় নিজেদের গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে আনার সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক ও গোলকিপার মেহেদী মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় তাকে। পরে মেহেদীকে হাসপাতালেও নিতে হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
সাফের বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অতিরিক্ত সময়ের খেলা নেই। তাই সরাসরি টাইব্রেকারই শুরু হয়। পেনাল্টি শুট আউটের প্রথম শটটিই মিস করেন ভারতের থাংলাসুন গানতে। বাংলাদেশ ৪ টি পেনাল্টি শট নেওয়ার পর তাদের আর শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ৪-৩ গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ম্যাচশেষে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলবো, চ্যাম্পিয়ন হবো। যদিও গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে হেরেছি। এরপর খেলোয়াড়দের নানানভাবে উজ্জীবিত করেছি। তাদের ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু করার। সেটা আজ তারা করতে পেরেছে। আমি খুশি। এছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি আমাদের প্রজন্ম ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। এখন জেতায় তারা নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে।”
২৮ আগস্ট স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।