ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পালের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ করেছেন নান্দাইলের নাগরিক সমাজের পক্ষে আহসান কাদের মাহমুদ ও রফিকুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল ৩১শে আগস্ট ২০২৩ সনে যোগদানের পর থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল অব: আব্দুস সালামের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম, স্বেচ্ছারিতা, দূর্নীতি সহ সরকারি অর্থ আত্মসাত করে যাচ্ছেন। তিনি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নান্দাইল উপজেলায় ১৩৯টি সেমি পাকা ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কোটি টাকার উপরে অর্থ আত্মসাত করেছেন। উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর উদ্বোধনের পূর্বেই ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর তরিঘড়ি করে নামমাত্র কিছু সংস্কার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নিয়ে টিআর,কাবিখা,কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্প (চল্লিশা)র নামমাত্র কাজ করে প্রকল্পের সাড়ে ছয় কোটি টাকার ৪০% অফিস খরচ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলেও তিনি পরিত্যক্ত বাসভবন বসবাস করে মাসিক ভাড়া বাবদ বরাদ্দ সরকারি অর্থের পুরো টাকাই আত্মসাত করেছেন। অভিযোগকারী আহসান কাদের মাহমুদ বলেন, সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে মোটা অংকের বাণিজ্য করেছেন। সওজের জায়গায় অবৈধদখলদারী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের যোগসাজশে কাহারও অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছেন, আবার টাকার বিনিময়ে অনেক অবৈধ স্থাপনা অক্ষত রেখেছেন ও সওজের জায়গা স্থাপনা নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ইজারা নিয়ে অনিয়ম এবং খাস কালেকশন করে পুরো টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে রাজস্বখাতের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাশঁহাটি বাজার গো-হাট খাস কালেকশনের টাকা রাজস্ব ফান্ডে জমা না দেখিয়ে সাকুল্য টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন হাট-বাজারের ইজারাদার ও ইটভাটার মালিক, বিসিআইসি সারের ডিলার, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ৫৫জন ডিলার ও ওএমএসএস এর ডিলার, করাত কলের মালিক, টিসিবি’র ডিলার, তারেরঘাট পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক সহ বিভিন্ন জনের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে যথসামন্য টাকা অনুষ্ঠানে খরচা করে বাকি টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো আমার নলেজে নাই। আমি একটি মিটিংয়ে আছি বলেই ফোন কল কেটে দেন।