দূতাবাসের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ত্রিপলীর তারিক মাতার ও আইনজারা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৫৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। আইওএম কর্তৃক ভাড়াকৃত লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট (UZ222) মেতিগা বিমানবন্দর হতে ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বেলা ০৩:১৫ ঘটিকায় উড্ডয়ন করেছে এবং ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার ভোর ০৬:৩০ ঘটিকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় অবতরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা হলে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তাদেরকে বিদায় জানায়। এসময় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভবিষ্যতে দালাল এবং মানবপাচারকারীর প্ররোচনায় পড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশে ফিরে পচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দূতাবাস হতে তাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক, বিপদগ্রস্ত এবং পাচারের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে দেশে প্রত্যাবাসন করতে দূতাবাস সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুলাই ২০২৩ থেকে অদ্যাবধি মোট ২,১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
উপরন্তু দূতাবাস ইতোমধ্যে ত্রিপলী ও বেনগাজীর বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক অবশিষ্ট বাংলাদেশীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করেছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় ত্রিপলী, বেনগাজী ও মিসরাতা হতে স্বেচ্ছায় দেশে গমনে ইচ্ছুক অভিবাসীদের আইওএম এর নিকট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। এপ্রেক্ষিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে আরও চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে।