বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চিনি শিল্প ধ্বংসের মূল কারিগর দেলোয়ার হোসেন। তিনি যখন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন সেই থেকেই চিনি শিল্পে নেমে আসে অমানিশা। কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করলেই তার মুখ থেকে হুঙ্কার দেয়া হতো – ” খাইয়া ফালামু”।
চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। তবে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে সেই সময় পার্থ প্রতিম নামে জনৈক কর্মকর্তা যিনি দেলোয়ার হোসেনের আস্থাভাজন লোক ছিলেন। কাকে কোথায় বদলী করা কিংবা দেলোয়ারের বিপক্ষে কেউ কথা বললে চামচা পার্থ প্রতিম দেলোয়ারকে জানিয়ে দিত। দেলোয়ারের পা চাটা গোলাম এই পার্থ প্রতিম। টাকা ছাড়া কাউকে তিনি প্রমোশন দিতেন না। তার আমলে এসএসিডিও থেকে এএম পদে ইন্টারভিউ হয়। ২৩ জন উত্তীর্ণ হয়।
১৯ জনের নিকট থেকে লক্ষাধিক করে টাকা নিয়ে তাদেরকে প্রমোশন চিঠি দেন বাকি ৪ জন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের পদোন্নতি চিঠি দেয়া হয়নি। পরে দস্তগীর সাহেব যখন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিযুক্ত হন তখন অবহেলিত ৪ জন তাকে বিস্তারিত জানালে প্রায় একবছর পর সেই ৪ জনকে তিনি প্রমোশন দেন।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের বিভিন্ন চিনিকলে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ আশাবাদী সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।