বিশেষ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর আওতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে স্বচ্ছাতার সহিত টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করতে দেখা গেলেও অধিকাংশ কার্ডধারীরা টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে আসেনি। ফলে টিসিবি’র ডিলারদের নিকট টিসিবি’র পণ্য রয়ে গেছে। জানাগেছে, রোববার (৮ই সেপ্টেম্বর) উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া গাবতলী মাদ্রাসা মাঠে বরাবরের ন্যায় ৪টি ওয়ার্ডের টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করা হয়। খলিল স্টোরের মালিক টিসিবি’র ডিলার শহিদুল ইসলাম টিসিবি’র তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ইনসান আলীর উপস্থিতিতে স্বচ্ছাতার সহিত টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করছেন। ৬৩২টি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭৫ জন কার্ডধারী টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করেছেন, কিন্তু ২৫৭ জন কার্ডধারী টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে আসেনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সবসময় ৬৩২জন কার্ডধারীর মাঝে সকল কার্ডের পণ্য বিতরণ করা হতো, এখন সেখানে ২৫৭ জন কার্ডধারী অনুপস্থিত রয়েছেন। জানাযায়, তৎকালীন সময়ে জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তাদের নিজেদের পরিবারের নাম, স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের নাম ও ভূয়া নাম অন্তর্ভূক্তি করে টিসিবি’র পণ্য উত্তোলন করেছেন। এছাড়া টিসিবি’র তালিকায় যাদের নাম অর্ন্তভূর্ক্ত করেছে, তারা অনেকেই তা জানতো না। ফলে ওই কার্ডগুলোর পণ্য জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীরা তা তুলে নিয়ে বিক্রী করে দিতেন। বর্তমানে টিসিবি’র মালামাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতি করা সম্ভব হচ্ছেনা বিদায় ওই সমস্ত ভূয়া কার্ডধারীগণ টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে আসেনি বলে ধারনা করছেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান ও রাজ্জাক রহমান মাসুম জানান, বিগত সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে কার্ড ছিল। কিন্তু তারা আসেনি। এ বিষয়ে টিসিবি’র তদারকি কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ইনসাল আলী বলেন, যারা প্রকৃত কার্ডধারী তাদেরকেই টিসিবি’র পণ্য দিয়েছি। যারা আসেনি, তারা কেন আসেনি তা আমার জানা নেই।