নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চাঞ্চল্যকর বুরহান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মো. ইকবাল হাসান(৩৪)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা । গ্রেফতারকৃত মো. ইকবাল হাসান কটিয়াদী উপজেলার নাগেরগ্রাম এলাকার মৃত মির্জালীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক অভিযান চালিয়ে তাকে কটিয়াদী উপজেলার পংমশুয়া এলাকা থেকেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ বিকাল অনুমান পৌনে ৫টার দিকে ভিকটিম মো. বুরহান(২৩) তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে শিবনাথ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।পরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ভিকটিম ঘরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুজি করতে থাকে। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে ভিকটিমের পরিবার লোকমুখে সংবাদ পায় যে, কটিয়াদী থানাধীন নাগের গ্রামে এলাকার দত্তের বাড়ির পশ্চিমপাশে মুলতার মোড় কুমড়ি বিলের মাঝখানে জনৈক হাতিম মিয়ার ধান ক্ষেতে একটি লাশ পড়ে আছে। ওই সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম মো. বুরহান এর ক্ষতবিক্ষত
লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় নিহতের মা মোছা. পারভিন আক্তার(৩৮) বাদী হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামিদের ধরতে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মার্চ উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কটিয়াদী উপজেলার নাগের গ্রাম(পূর্বপাড়া) এলাকার ছকবুল হোসেনের ছেলে জাকিরহোসেন ওরফে অজু(৩৮)কে গ্রেফতার করের্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যতম পরিকল্পনাকারী কটিয়াদী উপজেলার নাগেরগ্রামএলাকার মৃত মির্জালীর ছেলে মো. ইকবাল হাসান গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত আসামিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রাখে এবং অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে।