ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৩নং নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ৫০ উর্ধ্ব চাচাতো দুলাভাই হাদিস মিয়া কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এতে অভিযুক্ত হাদিস মিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকজন মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ওই ছাত্রী (১১) নান্দাইল ইউনিয়নের পশ্চিম রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। আর অভিযুক্ত হাদিস মিয়া (৫০) রসুলপুর গ্রামের মৃত আবদুল আলীর পুত্র। সম্পর্কে হাদিস মিয়া ছাত্রীটির চাচাতো দুলাভাই।
গত ৩রা জানুয়ারি/২৫ইং শুক্রবার সকালে ছাত্রীটি তার নিজ বাড়ির উত্তরপার্শ্বে টিনের বেড়া দেওয়া গোসলখানার টিওবওয়লে শাকসবজি ধুইতে যায়। এসময় হাদিস মিয়া ছাত্রীকে একা পাইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে গোছলখানায় ঢুকে তাকে জাবরাইয়া ধরে এবং মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি সহ টিওবওয়েলের পাড়ে শুয়াইয়া ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে ছাত্রীটি তাহার কবল হইতে ছুটার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং ডাক চিৎকার দিলে ওই ছাত্রীর মা সহ বাড়ির অনেকেই আগাইয়া আসিলে হাদিস মিয়া দৌড়াইয়া পালিয়া যায়।
পরে উক্ত বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে হাদিস মিয়া ও তাঁর পরিবার ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ছাত্রীর পিতা কোন সুবিচার না পাওয়ায় শনিবার (১১ জানিয়ারি) নান্দাইল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত হাদিস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।