নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর মিয়া ও সচিব বিপ্লব ঘোষ অবৈধ স্থাপনা সরাতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, তাদেরকে ম্যানেজ হওয়ার কারণেই অবৈধ স্থাপনা সরানো হচ্ছে না।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন। এসময় পরিষদের সামনে সরকারি জায়গায় তিনটি অবৈধ দোকানসহ অন্যান্য স্থাপনা সরাতে কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। দৃষ্টিনন্দন পরিষদ ভবনটির সামনেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনার জন্য দৃষ্টিকটু হওয়ায় জেলা প্রশাসক স্থাপনাগুলো সরাতে নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে পরিষদের জায়গায় তিনটি দোকানসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করে মাসিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় ভাড়া দেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেনো স্থাপনাগুলো সরানো হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর মিয়া বলেন, দোকানদেরকে বলা হয়েছে শীঘ্রই সরানো হবে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউপি সচিব বিপ্লব ঘোষ অবৈধ স্থাপনার মালিকদের সাথে অদৃশ্য সমঝোতার মাধ্যমে স্থাপনা ভাঙার ব্যাপারে সময়ক্ষেপণ করছেন। তবে ইউপি সচিব এর জন্য দায় চাপানোর চেষ্টা করেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের উপর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিষদের সরকারি জায়গায় বছরের পর বছর একটি শ্রেণি অবৈধ দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া বাণিজ্য করে আসছেন। বিষয়টি সচিব, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের চোখের সামনেই ঘটছে। রহস্যজনক কারণে এতোদিন সরকারি ভূমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেননি তারা।