ডেস্ক রিপোর্ট
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন এখন কেবল ঘোষণার অপেক্ষায়। কিন্তু যাত্রা শুরুর আগেই দলের শীর্ষ পদের দাবি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির এই দল গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের পদ দাবি করাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়। শেষ পর্যন্ত সব পক্ষকে খুশি রাখতে বা সবার মন জোগাতে সমঝোতা করে শীর্ষ পদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে গত কয়েক দিনে কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হয় বিরোধে জড়িয়ে পড়া পক্ষগুলোর মধ্যে। এসব বৈঠকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব পদ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই দুটি পদ বা তার অধিক নতুন পদ সৃষ্টি করা হতে পারে। পদ তৈরির মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন দলে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
যদিও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বিকেন্দ্রীকরণ ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির জন্যই নতুন পদ তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘বেসিক্যালি ডিসেন্ট্রালাইজেশন করতে চাচ্ছি ও নিউ লিডারশিপ নিয়ে আসতে চাচ্ছিলাম দলের এ পোস্টগুলোতে। যদিও এখনো কোনো কিছু ফিক্সড হয়নি। আমাদের এখানে লিডারশিপ বেশিতো, মূলত লিডারশিপের একটা প্রতিযোগিতা আছে,’ বলেন পাটওয়ারী।
দুই–তিনজন নেতৃত্বের কাছে সীমাবদ্ধ না থেকে যাতে 'বেস্ট লিডার' পাওয়া যায়, সে বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান পাটওয়ারী।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘যাতে আমরা বেস্ট লিডার পাই, যিনি এ সময়ে সংগঠিত করে সংগঠনটা গঠন করতে পারবেন; ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। দুই-তিনজন নেতার কাছে সীমাবদ্ধ না থেকে ১০-১৫ জন নেতাকে আমাদের স্ট্রাকচারে কো-অপ্ট করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করছি আমরা।’