নিজস্ব প্রতিবেদক
দূর্ঘটনা ঘটলেই কেনো টনক নড়ে সবার, আগে কি কেউ দেখে না? পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কেনো নেওয়া হয় না এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে জনমনে। বাজিতপুরের সরারচরে মূল সড়কের পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি স'মিল। আর এই স'মিলগুলোর গাছ ও গাছের ফালি রাস্তার পাশে কিভাবে রাখা হয় এমনটি কারো অজানা নয়। এ সড়ক দিয়েই নিয়মিত চলাচল করে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা হর্তা কর্তারাসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষজন। রাস্তার সাথে স'মিলের গাছ এটি শুধু আজকেরই চিত্র না। বরংচ এমন চিত্র বছরের পর বছর ধরেই দেখে আসছে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিরা।
এতোদিন বিষয়টি দেখেও কেনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন এমন প্রশ্ন করাটা আদৌ অযৌক্তিক নয়। সরারচর ফাজিল মাদরাসার একজন শিক্ষিকা সিএনজিযোগে মাদরাসায় আসার পথে ফেলে রাখা গাছের সাথে সিএনজির সংঘর্ষে ছয়জনের মতো আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে বেশ সময় ধরে আটকে রাখে ট্রেন, বন্ধ করে রাখে সড়কে চলা যানবাহন। সেনাবাহিনীর গাড়ী এসেও এদের শান্ত করার চেষ্টা করে। খুবদ্রুত সময়ের মধ্যেই চলে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সিলগালা করে বন্ধ করে দেয় তিনটি স'মিল। সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে শান্ত হয় শিক্ষার্থীরা।
সচেতন মহলের দাবি ঘটনা ঘটলেই শুধু ব্যবস্থা নয়, এর আগেও দৃশ্যমান সমস্যা সমাধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে যেনো দূর্ঘটনার মতো দৃশ্য দেখতে না হয় স্থানীয়দের, ভোগান্তিতে পরতে না হয় সাধারণ মানুষদের।