নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার জন্য ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনকে দায়ী করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তার মতে, ‘শেখ হাসিনার ১৭ বছরের আমলে অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে এর বিচার হয়নি। বরং, যারা গণধর্ষণ করতো তাদের পুরষ্কৃত করা হতো। সে কারণেই এসব ঘটনা এখন বেড়েছে।’
রোববার সকাল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকায় তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ষণচেষ্টার শিকার ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আটিগ্রামে আসেন আফরোজা আব্বাস।
বিএনপির এ নেত্রী বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জে ৮ বছরের এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করা হলো। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি দেখেই ফোন দিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। তাই আমরা শিশুর পরিবারের কাছে এসেছি। আমরা শিশুটির ন্যায়বিচারের পক্ষে মাঠে রয়েছি। এ নরপশুদের বিচার না হলে এরা মানুষ হবে না। আছিয়া যেভাবে মারা গেলো এর আগে যদি ধর্ষকদের কঠোর বিচার হতো তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন। এখানে তো প্রমাণের দরকার নাই। জনসম্মুখে এদের বিচার হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা আরও কঠিন হওয়া উচিত। যদি আইন না থাকে তাহলে আইন বানান। কারণ জনগণ যেটা ঠিক করবে সেটাই আইন।
ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয়, তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে বলে মন্তব্য করেছেন আফরোজা আব্বাস। এ সময় সরকার অনতিবিলম্বে সময়ক্ষেপণ না করে আছিয়ার ঘটনার বিচার করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। আমি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পক্ষ থেকে তথা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের এই ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা জানেন নারায়ণগঞ্জে অনেক আগের একটি ঘটনায় রিমার স্বামী মনিরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়েছিল আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। সেই রকম বিচার যদি শেখ হাসিনা দুয়েকটা করতে পারতো তবে দেশের আজকে এই অবস্থা হতো না। এখন নতুন যে সরকার আসছে আমরা আশা করব অনতিবিলম্বে সময়ক্ষেপণ না করে আছিয়ার ঘটনার বিচার করবে।’
এই নেত্রী বলেন, ‘এই ঘটনার কোনো প্রমাণের দরকার নাই, হাতেনাতে এটা প্রমাণিত হয়েছে। জনগণের সামনে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলানো উচিত এদের। জেলখানায় নিয়ে ফাঁসি দেবে আমরা এটাও চাই না। আমরা চাই আছিয়ার মা-বাবা স্বচক্ষে অপরাধির ফাঁসি দেখুক।’
ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয় তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে জানিয়ে আফরোজা আব্বাস বলেন,‘প্রয়োজনে ইসলামী আইনে বিচার করুক। ইসলামে আছে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে দণ্ড কার্যকর করা। যে আইনেই করুক, এর বিচার কার্যকর করতে হবে জনসম্মুখে।’