মোঃ মিজানুর রহমান
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা চৌদ্দশত নান্দোলা জমি সংক্রান্ত বিরূদে বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ থানায় মামলা।
রবিবার ১৬ মার্চ দুপুরে নান্দলা গ্ৰামের মোঃ হবিল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাজ মিস্ত্রিদের সাথে কথা হলে বলেন অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করেছেন পাশের বাড়ির ফরিদ মিয়ার লোকজন, লাঠি সোটা নিয়ে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে আমরা কাজ রেখে চলে আসি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল বলেন হবিল মিয়ার ও ফরিদের সাথে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলছে গতকাল ফরিদের লোকজন মিস্ত্রিদের উপর হামলা করেছে, লাঠি সোটা নিয়ে আক্রমণ করছে হবিলের বাড়িতে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মোঃ দয়াল মিয়া বলেন হবিল মিয়ারা সালিশ দরবার করে টাকা পয়সা অনেক নষ্ট করেছে। জায়গা বুঝে পাচ্ছে না, আমরা চাই হবিলের জায়গা কাগজপত্র দেখে হবিলকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
মোঃ হবিল মিয়া বলেন আমাদের চাচাতো ভাই মোঃ ফরিদ মিয়া ও শরিফ দের সাথে জায়গা সম্পত্তি নিয়া আমাদের ১০-১২ বছর ধরেই ঝামেলা চলছে। আমার পাঁচ শতাংশ জায়গা কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও ফরিদ,ও শরিফ জায়গা বেঁধফল করে রেখেছেন।
আমার জায়গায় আমি গেলেই আমাকে আক্রমণ করে। গত ২৭ শে রমজানে এই জমি নিয়ে আমার মাথায় দাঁড়ানো দা দিয়ে খুপ দিয়েছে ফরিদের লোকজন, আমার মাথায় ১৭ টি সিলাই করতে হয়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আমি সুস্থ হই।
আমি উকিল দরবার করেছি ফরিদ মানতে রাজি না, গ্রামের সালিশ, দরবার কিছুই মানে না তারা। আমাদেরকে বারবারই অত্যাচার করে যাচ্ছে,গতকাল রবিবার আমি কাজ করার জন্য মেস্তী নিয়ে আসলে মিস্ত্রিদের উপরে হামলা করেছেন। ভাঙচুর করেছেন আমার বাড়ি ঘর।
এ ব্যাপারে আমজাদ বলেন ২০১৮ সালের পর থেকে আমাদের উপর অত্যাচারের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। একপর্যায়ে আমার ঘর ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে, তখন আমি মামলা করি, মামলা করার পর আপোষ মীমাংসা হয়েছে কিন্তু তারা মানতে রাজি না। আমি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ করেছি, অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য। চেয়ারম্যান দুইজনের মাধ্যমেই আলোচনা করে মীমাংসা করেছে কিন্তু ফরিদ গং মানতে রাজি না। চেয়ারম্যান আমাদেরকে একটি লিখিত দিয়েছেন এখানে উল্লেখ আছে ফরিদ গং দরবার মানে নাই। গতকাল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে এটার বিচার পাবো আমি আশা করি।