মোঃ শাহজাহান ফকির স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহের নান্দাইল একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে আব্দুল মোমেন (৬৮) নামে এক স্কুল দপ্তরির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের পংকরহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, আব্দুল মোমেন (৬৮) নান্দাইল রোড উচ্চ বিদ্যালয়ের রিটায়ার্ডপ্রাপ্ত স্কুল দপ্তরি ও মৃত মোখলেস আলীর পুত্র। কিছু দিন পূর্বে আব্দুল মোমেন ও তার ভাইয়ের লোকজন নিয়ে নিজেদের বাড়িতে যাওয়া-আসার জন্য একটি রাস্তা নির্মাণের দাবী জানায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গের নিকট। পরে সকলের আলোচনাক্রমে নান্দাইল রোড বাজার টু বাংলাবাজার রাস্তা হইতে সংযোগ সড়ক হিসেবে আব্দুল মোমেন এর বাড়ি পর্যন্ত ৬ ফুট রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহনের পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ মঞ্জুর করা হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাস্তা নির্মাণ কাজে আব্দুল মোমেন সহ তার বাড়ির লোকজন সহায়তা করছিল। এসময়পাশ্ববর্তী গ্রামের প্রতিবেশী মৃত সিরাজুল হকের পুত্র ও মৃত আব্দুল হকের পুত্র, কন্যা ও পুত্র বধুরা যথাক্রমে আশরাফুল হক, জামান ও সবুজ মিয়া সহ বেশ কয়েকজন মহিলা তাদের জমি দিয়ে রাস্তা দিবে না বলে উক্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে। পাশাপাশি নির্মিত রাস্তার মাটি কোদাল দিয়ে কুপিয়ে ক্ষেতে ছড়িয়ে দিতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে আব্দুল মোমেন প্রতিপক্ষের আঘাতে মাটিতে পড়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তা হাতাহাতির ঘটনা থামানো হলে যে যার মতো বাড়িতে চলে যায়। আব্দুল মোমেনেও বাড়িতে গিয়ে হঠাৎই মাটিতে ঢলে পড়েন এবং তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরন করেন।
মৃত্যুর খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম, এসআই শাহিন সহ সঙ্গী ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের সুপারিশে তথা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ফায়সালা করেই লাশ যথা নিয়মে দাফন করা হবে কথা বললে থানা পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফিরে যান।
নিহতের পুত্র খোকা মিয়া জানান, তাঁর বাবাকে পরিকল্পিত ও কৌশলগতভাবে সবুজ, আশরাফুল, ফাইজুল ও তার স্ত্রী মীনা আক্তারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা করে আমার বাবা কে মেরে ফেলেছে। এর বিচার চাই। মেয়ে শাফিয়া আক্তার দিপালী বলেন - আমার বাবাকে চোঁখের সামনে মারধর করে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন - পরিবারের পক্ষ থেকে মারধরের মৃত্যু বলে অভিযোগ করছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।