রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৯৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩ টা থেকে আজ বুধবার বেলা ৩ টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পায়। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, টানা বৃষ্টিতে জেলার নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নিম্নাঞ্চলে গুলোতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রবেশ করেছে। ভরতখালীর ভাঙা অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নয়।
এদিকে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। করতোয়া,ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা,সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নদীবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে হাজারো মানুষ পানি বন্ধি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
রংপুরর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসাহাক আলী মুঠোফোনে জানান, ভরতখালী উল্লাহবাজার এলাকায় ভাঙা অংশে আগে থেকেই বাঁশের সাঁকো ছিল। বৃষ্টি আর পানি বৃদ্ধির কারণে সাঁকোটি ভেঙে গেছে। সাঁকোর দুই পাশেও ভেঙে গেছে। মেরামতের করে যান চলাচলের জন্য সাভাবিক করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।