নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগঞ্জ নামক স্থানের বাসিন্দা মোহাম্মদ এমদাদুল হক এ অভিযোগ করেন।
এমদাদুল হক বাদী হয়ে মোঃ আফিস উদ্দিন, মজিবর রহমান সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে নীলফামারীর সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন বিবাদীগণের সাথে দীর্ঘদিন যাবত নীলফামারী জেলা বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলোমান আছে। ঘটনার দিন বাদ ও তার পরিবারের লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে যায়। হাজিরা শেষে বাদী সহ তার পরিবারের লোকজন দেখতে পায় তাদের তিনটি বাড়ি তে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে।
বিবাদী গনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন আমার দুইটি পাকা রুম, ঘরে থাকা ফ্রিজ, ফ্যান, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর সহ কৃষিকাজে ব্যবহৃত গাড়ি (ট্রাক্টর) বিক্রির গচ্ছিত আমানত ৬,৫০,০০০/- (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) টাকা সহ ঘরে থাকা দেড় ভড়ি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বিবাদীগণ। তিনি (বাদী) আরো অভিযোগ করেন যে- তার ২ জন ছোট ভাইয়ের পৃথক পৃথক বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায় বিবাদীরা। এসময় তার (বাদীর) বড়োভাই রবিউল এর ৩ টি পাকা রুম এবং বড়োভাই রেজাউল এর ২ টি পাকা রুমে হামলা চালায় বিবাদীগণ। এছাড়াও তিনি বলেন ছোটভাই রবিউল এর বাড়িতে গচ্ছিত ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বিবাদীগণ এবং ছোট ভাই রেজাউল এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা নিয়ে যায় বিবাদীগণ।
বাদী এমদাদুল হক অভিযোগ করে বলেন- বিবাদীগণেে এমন সন্ত্রাসী কার্যাকলাপ দেখিয়া ছোটভাই রেজাউল বাধা প্রদান করিতে গেলে তার গলায় ছুরি ধরে এবং প্রান নাসের হুসকি দেয় এজন্য সে কোন বাধা নিষেধ করিতে পারেনা।
পরবর্তীতে বিবাদীগণ দেশীয় ছুরি ধারালো অস্ত্র সস্ত্র লাঠি শোডা নিয়ে বাদীর বাড়ির আশপাশ ঘোরাফেরা করে। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করিলে প্রান নাশের হুমকি দেন বলে বাদী অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য যে গত ৬ আগস্ট/২৪ এ বাংলাদেশ পুলিশের কর্মবিরতির কারনে বাদী নিজ থানায় কোন প্রকার অভিযোগ করতে পারেন নাই এবং অফিসার ইনচার্জ এর মন্তব্য সংগ্রহ করা হয় নাই।
Leave a Reply