মোঃ মিজানুর রহমান,
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়ন। অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত একটি জনপদ বলে জানান স্থানীয়রা। কালের সাক্ষ্য বহনকারী মেঘনা ও ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে গড়ে উঠা একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল এটি। উপনিবেশ আমলে এই ইউনিয়নের উপর দিয়েই বড় বড় নৌ জাহাজ ঢাকা, কলকাতা ও রেংগুনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করত। প্রায় ২২ বর্গ কি.মি. আয়তনের মাইজচরে মোট জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় বিশ হাজার। ১০ টি গ্রাম নিয়ে ইউনিয়নটি গঠিত। উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের দিলালপুর বাজার ঘাট এলাকা দিয়ে নৌকা যোগে পারাপার হয়ে মাইজচরে যেতে হয় স্থানীয়দের। মাত্র দুই মিনিট সময় লাগে পার হতে নদীটি। নৌকায় ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে স্থানীয়রা। ছোট্ট একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলেই দিলালপুর হয়ে উপজেলা সদরের সাথে শুষ্ক মৌসুমে সহজে স্থল পথে সিএনজি, অটো বা অন্যান্য যানবাহন যোগে যাতায়াত করতে পারতো হাজার হাজার মানুষজন। কৃষি পণ্যসহ সব ক্ষেত্রেই যোগাযোগ ও উন্নয়নের একটি মাইলফলক হতে পারতো এ জনপদটি।
স্থানীয় বাসিন্দারের সাথে কথা বলে জানা যায়, নৌকা দিয়ে পার হতে গেলে দু’মিনিটের রাস্তা ১০ থেকে পনেরো মিনিট সময় নেয় নৌকা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। মোটর সাইকেল নিয়ে পার হতে গেলে অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুণতে হয়। প্রতিদিন এভাবে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট।
আক্ষেপ করে একজন বাসিন্দা বলেন, কত জায়গায় রাস্তা নেই অথচ ব্রীজ নির্মাণ করে সরকারি টাকা লুটপাট করেছে জনপ্রতিনিধি ও অসাধু ব্যক্তিরা। আর এখানে ছোট্ট একটি ব্রীজ হলেই এ এলাকার লোকজন স্থলের সাথে সংযুক্ত হতে পারতো।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া যায়নি ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজীর। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে মৌখিকভাবে দায়িত্ব পালনকারী প্যানেল চেয়ারম্যান -১ আলী আকবর জানান, দিলালপুর হয়ে মাইজচরে যেতে হলে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। একটি ব্রীজ নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply