1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
‘নির্বাচন বিলম্ব করার সঠিক হবে না’ রূপগঞ্জে হবধূর মরদেহ রাস্তায় ফেলে পালানোর সময় স্বামী-শাশুড়ি আটক বন্দরে মশার কয়েলের আগুনে পুড়ল আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাড়ি ৭৫ টাকায় গ্যাস আমদানি করে ১২-১৭ টাকায় বিক্রি করা জ্বালানি খাতের টেকসই সমাধান নয়: জালাল আহমেদ কিশোরগঞ্জে মুখে কালো কাপড় বেঁধে আ’লীগের ব্যানারে মিছিল বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান বিচারকদের অন্যায় করার কোনো সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা কলেজ ছাত্র হত্যার কথা স্বীকার করে ফেসবুক পোস্টে যুবকের আত্মসমর্পণ  হোসেনপুরে পত্রিকা হকার দম্পত্তির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা

টকশো। ৫ আগষ্ট বনাম আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ১১৩ বার শেয়ার করা হয়েছে।

অথই নূরুল আমিন

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় দেশবাসী আশা করি ভালো আছেন। তার মধ‍্যে অনেকেই ভালো নেই। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তার কারণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে। আজকে গোটা জাতি গোটা দেশ তথা গোটা সমাজ জুড়ে চরম বৈষম্যের দেখা দিয়েছে। তার মধ‍্যে অনেকেই ভালো নেই। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মন্ত্রী এমপি এবং ব‍্যবসায়ী কিন্তু দুই তারিখেই বিদেশ চলে গেছে। তিন তারিখে সারাদিন সারারাত বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে অনেকেই । বিশেষ করে যারা অবৈধভাবে টাকা আয় করেছে।

খুবই দুঃখজনক। এবং খুবই লজ্জা লাগছে আজকে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। এই কারণে যে একটি রাজনৈতিক দলেল প্রায় সবাই চোর। ওদের কে তো। সংঘবদ্ধ চোর সংঘ বলা চলে। এটা কেমন করে সম্ভব। এটা ভাবতে গিয়ে আজকে আওয়ামী লীগের মতো এরকম একটি রাজনৈতিক দলের মন্ত্রী এমপি ব‍্যবসায়ীসহ দেশের সকল জন প্রতিনিধি অবৈধভাবে টাকা আয় করেছে।এটি আজকে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। তাদের পলায়ন দেখে।
প্রিয় দেশবাসী। যাক সে কথা। 5 আগষ্ট নিয়ে এবং আন্তর্জাতিক মহলের ষড়যন্ত্র নিয়ে আজকের এই আলোচনা। তাতে প্রথমেই আসবে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নাম। যিনি বতর্মানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান। ড. ইউনূস সমগ্র বিশ্ব জুড়ে পরিচিত একজন মানূষ। এবং আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ছাড়া পৃথিবীর অসংখ্য দেশের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। তার মধ‍্যে আমেরিকায় সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য একজন ব‍্যাক্তি।

আমেরিকার আই এস রা দির্ঘ আট বছর ধরে বাংলাদেশের উপর খুবই নজর রাখছিল। তাদের প্রথম চিন্তা ছিল। বিএনপি কে তাদের লোক হিসেবে বাংলাদেশে ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি দুটি কারণে। তার একটি কারণ হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা আবস্থায় আই এস এর বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ সেদিন রুখে দেয়। দুই হলো আই এসরা বিএনপির উপর শতভাগ বিশ্বাস রাখতে পারেনি।তার কারণ হিসেবে জানা যায়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কখনো একা আসা সম্ভব নয়। জামায়াত সহ আরো কয়েকটি দল তাদের সাথে থাকবে।

এছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতের সাথে তাদের একটা সু সম্পর্ক থাকবে বা রাখবেই। এদিকে জামায়াত পাকিস্তানের সাথে আরো গভীর সখ‍্যতা গড়ে তুলতে পারে। তখন তারা আমেরিকার সাথে পল্টি ও দিতে পারে।
এরকম দু মনা ভাব আর আওয়ামী লীগের একটানা কয়েকটি যড়যন্ত্র উড়িয়ে দেয়া এটাও সমস্যা ছিল। কিন্তু আই এস তারপরও আওয়ামী লীগের উপরে নজর রেখেছিল। এর মধ‍্যে একটা সময় আমেরিকার পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে খুব হালকা করে প্রস্তাব ও দিয়েছিল।
আই এস সর্বশেষ জরিপ করল আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে। আই এস সদস‍্যরা দেখল । সাত তারিখের জাতীয় নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। আই এস প্রত‍্যক্ষদর্শী হিসেবে যখন তা দেখল। তখনই আই এস সদস্যরা। প্রথমেই জামায়াতের নেতাদের সাথে মিটিং করে এবং তারা ১৮ সালের কোটা আন্দোলন নিয়ে গবেষণা করে নতুন ইস‍্যু তৈরী করে।
এই আলোচনায় ঠিক করা হয়। সফল হতে পারলে সরকার প্রধান হবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হবেন। এরকম শর্ত জামায়াতের নেতারা মানলেন কেন? এই প্রশ্নের সহজ জবাব হলো ড. ইউনূস চরম ভারত বিরোধী। জামায়াত ও কিন্তু ভারত বিরোধী।
তখনই তাদের মতো করে সারাদেশ জুড়ে প্রথমেই ছাত্র শিবির দিয়ে ছাত্রদের কে সংগ্রহ করতে থাকে। তারপরের ব‍্যাপার সবারই জানা।

এদিকে ভারত যখন জানতে পারে। তাদের র এর মাধ‍্যমে যে, ড. ইউনূস হতে পারেন রাষ্ট্র প্রধান। তখন তারাও চেষ্টা করেছে। ছাত্র আন্দোলন থামিয়ে দেবার। তবে ভারতের র এরা প্রথমে বিষয়টি হালকা ভাবেই নিয়েছিল। কিন্তু যখন ছয় তারিখের ঘোষিত আন্দোলন একদিন এগিয়ে ৫ আগষ্ট করা হলো। তখন র এরা বুঝতে পেরেছে। এখানে অনেক দাবা চাল হয়ে গেছে।
ব‍্যস যেই ভাবনা সেই কাজ। শেখ হাসিনা পদত‍্যাগ করে ভারত চলে গেলেন। ভারত যাওয়ার পরপরই আমেরিকায় প্রবেশ করণ পাসপোর্ট বাতিল করে দিল।এই খবর শুনে লন্ডনে থাকার আবেদন ও তারা অস্বীকার করল। যেন ওরা মামাতো ফুফাতো ভাই।তারপর সৌদি দুবাই তারাও লেজ গুছিয়ে নিল। শেখ হাসিনা এখনো ভারতেই রয়েই গেলেন।
ভারতের র এরা এখনো নানারকম যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে নিয়ে ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র। তার কারণ অনেক। প্রথমটি হলো সেভেন সিস্টার। অন‍্য টা হলো বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি।

আমাদের বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য। শুধু ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়। আর ভারত থেকে আমাদের দেশে আলু পেয়াজ মসলা কাপড় ঔষধ প্রসাধনী সহ কয়েক হাজার পণ্য বাংলাদেশে আসে। ভারতের সমগ্র দেশে বাৎসরিক যত টাকা আয় হয়। তার ১৫ ভাগ আয় হয় শুধু বাংলাদেশ থেকে।
এখন ভারত সরকারের বড় ভয় হলো। বতর্মান সরকার যদি বাংলাদেশে ভারতের পণ‍্য বয়কট করে। তাহলে কোনো পণ্যই ভারত থেকে আসবে না।

আর ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ‍্য না আসলে ভারতের ব‍্যাবসায়ী সমাজ ও কৃষক সমাজের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অনশন হবে। মিছিল হবে এমনকি ক্ষুব্ধ ব‍্যবসায়ী ও কৃষক তারা নরেন্দ্র মোদির পদত‍্যাগ ও দাবি করতে পারে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে যদি সত্যি সত্যি ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া দেয় বতর্মান সরকার । তখন ক্ষিপ্ত হবে সারাদেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদি বা বিজিপি সরকারের পতন ও চাইতে পারে।
তাই এখন সরব মেধা যুদ্ধ চলছে। আই এস আর র। দেখা যাক কে কাকে সরাতে পারে। এদিকে চীন নীরব আছে এখনো। তবে তারাও প্রয়োজনে সময় এলে কিছু বলতেও পারে।

অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশ ভারত ও আমেরিকার রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
১২ আগষ্ট ২০২৪

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি