আমরা একাত্তরে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। কিন্তু এই স্বাধীনতা পাওয়ার আগে পাকিস্তানের প্রতি আমাদের কি কি অভিযোগ ছিল?
1. পূর্ব বাংলার নাগরিক হিসাবে কেউ উচ্চ পদে চাকরি পেতে অনেক কষ্ট পেতে হতো।
2. পূর্ব বাংলার জনগণের সাথে মেলিটারীরা খুব খারাপ আচরণ করত।
3. পূর্ব বাংলার মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবীরা তাদের মত প্রকাশে কঠিন বাধা ছিল।
4. তখনকার সময়ে পূর্ব বাংলার জনসাধারণের জন্য কৃষি কাজে সরকারের কোনো সহযোগিতা ছিল না।
5. পূর্ব বাংলার জনগণের শিক্ষা খাতে কোনো সরকারি বাজেট ছিল না।
6. স্বাস্থ্য সেবার মান খুবই খারাপ ছিল। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এককথায় পাকিস্তানি শাসক গুষ্ঠি চায়নি পূর্ব বাংলার কেউ শিক্ষিত হোক। এগুলো আসলে আমাদের শোনা কথা।
কিন্তু শেখ হাসিনা গত ষোল বছরে। যে ভাবে রাষ্ট্র চালিয়েছে। পৃথিবীর সকল বড় বড় স্বৈরশাসকের চেয়েও অনেক বড় তার ইতিহাস হবে নারী স্বৈরশাসক হিসাবে।
দেশের শতভাগ জনগণ থেকে তার লাঠিয়াল হিসাবে নিয়েছে দলীয় বাহিনী। আর সরকারের সকল কর্মচারিদের কে দিয়ে ঘুষ প্রথা চালু করেছে তাও শতভাগ। এদিকে তার দলের নেতাকর্মীরা সবাই চাঁদাবাজ। এমপি মন্ত্রীরা সবাই সরকারি প্রকল্পের কমিশনের ভাগীদার। অন্য দিকে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা ছিল জাতি শোষণ সিন্ডিকেট। তার সবকিছুর ভাগ পেয়েছে শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা একটা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মাত্র 20% মানুষ দিয়ে দেশের 80% ভাগ জনগণকে যেমন করেছে শোষণ, তেমনি করেছে নির্যাতন, নিপীড়ন তেমনি ভাবে দেশের শিক্ষা নষ্ট করেছে। স্বাস্থ্য সেবা নষ্ট করেছে। সামাজিক সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। এককথায় একটা জাতির সমস্ত মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে আপন চিত্তে। তার জন্য একমাত্র দায়ী শেখ হাসিনা।
বিশেষ করে বাঙালি জাতির যত গুলো সংস্কৃতি ছিল তাও নষ্ট করে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসত তাদের কেও সে আঘাত করেছে। অমূল্যায়ন করেছে। শোষিত নির্যাতিত দেশের 80% জনগণের কাছে শেখ হাসিনা এই নামটি যেন এক ঘৃণায় পরিণত হয়েছে।
আজকে দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে অনেক বড় কষ্ট। তারা অনেকেই শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর কুলাঙ্গার কন্যা হিসাবে আখ্যায়িত করছে। ভবিষ্যতে তার দুর্নীতি যখন আরো প্রকাশ পাবে। জনগণ আরো ক্ষিপ্ত হবে।
এর প্রথম কারণ হলো। দেশের সাধারণ মানুষেরা কোনো কাজে কোনো ভাবেই শেখ হাসিনার কাছে কোনো রকম মর্যাদা পায়নি। শেখ হাসিনার কাজ কর্ম কথা বা ভাষণে তার সেই অসভ্যতা জনগণের মাঝে ফুটে উঠেছে শতভাগ।
আগামী হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ হাসিনা এই নামটি যেন একটি কলংকময় নাম। এই হবে তার আগামী ইতিহাস। যার ফলে সবার প্রিয় বঙ্গবন্ধুর নামটিকেও আজকে দেশে বিদেশে থাকা সকল বাঙালি ঘৃণা করছে। যা কখনও হবার কথা ছিলো না।
কথা থাকে যে কখনও যদি কারো প্রতি একবার ঘৃণা ভাব জন্ম হয়। তা আর সহজে দূর হয়না। তবে কিছু জনগণ তাকে নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে। যারা তাকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসাবে পছন্দ করত। তাদের এই পছন্দ ও একটি ভাটা পড়তে থাকবে। এভাবেই একদিন বিলিন হয়ে যাবে। দুষ্ট শেখ হাসিনার নাম। তবে কথা থাকে যে দেশের জনগণের মন থেকে শেখ হাসিনাকে যেভাবে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। বতর্মান সরকার যদি শেখ হাসিনার চেয়েও দেশের পরিস্থিতি খারাপ করে ফেলে তারপরেও শেখ হাসিনা দরকার এমন কথাটি আর কেউ বলবে না। কারণ শেখ হাসিনা জনগণের চিত্তে আঘাত করেছে।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
16/8/2024
Leave a Reply