অথই নূরুল আমিন
বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গোলাম মওলা রনি, বিভিন্ন টকশোতে বা নিজস্ব পেইজে এমন কিছু কথা বলেন বা বলছেন। যা শুনে দর্শকেরা রীতিমতো হতবাক। তাই রনিকে মানুষ চমকপ্রদ উপাধি দেয়া শুরু করেছেন। যেমন জ্যোতিষী, হাত গণক, সাশ্রবিদ ইত্যাদি ইত্যাদি।
গোলাম মওলা রনি ইদানিং হাসিনা পুত্র জয়কে নিয়ে যে কথা বলেছেন, বা যে উদাহরণ তিনি দিয়েছেন। দেশের জনগণ তো সবাই অবাক। রনি বলেছেন, জয় হলো এমন একজন মানুষ, লেখাপড়া, তার মেধা এবং তার বিয়ে তার চলাচল। পৃথিবীতে তার সমতুল্য আর কেউ নেই। জয় মানে জয়। তার তুলনা সে নিজেই তার মতো আর কেউ নয়।
গোপন সূত্রে খবর পেলাম, রনি পঞ্চায়ন বয়ানটি লিখে জয়কে বলেছে পাঁচ কোটি টাকা চাই। আমাদের দেশের সুশীল বলে কথা। পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে অধম জয়কে, মহাভারতের অর্জুন বানিয়ে দিল রনি। যে জয়ের পাঁচ পয়সা কদর নেই। আওয়ামী লীগের ত্যাগী বা যোগ্য কোনো নেতাকর্মীর কাছে। গত পনেরো বছরে তার যোগ্যতার বিন্দুমাত্র প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
পনেরো বছরে জয়ের মা শেখ হাসিনা পনেরো হাজার ভুল করেছে। একটা ভুল সংশোধন করার মতো যার কোনো রকম মেধা নেই। এবং তার আচরণ খুব খারাপ। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের হলো জয়ের পছন্দ। যে ওবায়দুল কাদের কে অপছন্দ করে। দেশের ৯৮% মানুষ। এমপি পদের জন্য জয়ের পছন্দ বুড়ো তোফায়েল আহমেদ, বুড়ো আমির হোসেন আমু, আবূল হাসনাত আব্দুল্লাহ যাদের জন সমর্থন নেই ২%।
রনিকে বলছি ইউটিউব ভিউ বাড়ানো টকশো না করে সমাজে কি ভাবে সম্মানী হবেন। তাই করুন। অযোগ্য মানুষকে যোগ্য বলে চালিয়ে দিলেই তো আর সেই লোক যোগ্য হয়ে যাবেনা। আমার জানা মতে সজীব ওয়াজেদ জয় কখনও এই দেশে রাজনীতি করার মতো কোনো জ্ঞানই রাখে না।
সোহেল তাজ কে নিয়ে অনেকেই আফসোস করছেন। যদি সে আওয়ামী লীগের হাল ধরতেন । না সোহেল তাজ একজন ভালো মানুষ। ভালো মানুষের রাজনীতি দল আওয়ামী লীগ নয়। এই দলটা গত পনেরো বছরে যে পরিমাণ লুঠপাট করেছে। তাতে বুঝা গেছে ওরা চোর ছাড়া কাউকে দলে নেয় না।
তাই সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের কোনো পদ চালাতে পারবে না। এই দলটার সাবেক মন্ত্রী এমপি এবং নেতাদের কে চোর বানিয়েছে শেখ হাসিনা নিজে। কারণ গত পনেরো বছর শেখ রেহানার মুখ বন্ধ রাখতে রেহানাকে পনেরো বিলিয়ন টাকা দিতে হয়েছে। জয়ের ভবিষ্যতের জন্য রাষ্ট্রের কোষাকার থেকে এরকম পরিমাণ টাকা সরাসরি চুরি করেছেন।
তাই আজকে সোহেল তাজ এবং কাদের সিদ্দিকী এই দল আর চালাতে পারবে না।
এদিকে কাদের সিদ্দিকী একজনবীর মুক্তিযোদ্ধা ঠিকই। কিন্তু তার মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে আসুক।এটা শেখ সেলিম সহ শেখ পরিবারের অনেকেই চায়না। কারণ শেখ পরিবারের লোকেরা গত পনেরো বছরে যে হারে অবাদে দেশের টাকা লুঠপাট করেছে। তাদের ধারণা কাদের সিদ্দিকী দলের কোনো পদে থাকলে। এই চুরি গুলো তারা করতে পারবে না। যার জন্য কাদের সিদ্দিকী কে তারা নৌকায় তুলেনি।
ইতিহাস প্রমাণ করবে একদিন শেখ পরিবার যে কত বড় দুর্নীতিবাজ।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
১৮/০৮/২০২৪
Leave a Reply