অথই নূরুল আমিন
সম্মানিত দর্শক লেখাগুলো শেষ পযর্ন্ত না পড়ে কেউ কোনো রকম মন্তব্য না করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশেষ করে আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসলে দেশের সিংহভাগ জনগণই খুব পছন্দ করেন। এছাড়া অন্য কোনো সরকার ক্ষমতায় এলেই দেশের একটা বৃহৎ অংশ মনে করেন। তারা দেশ চালাতে পারবে না। বিদেশিরা দান অনুদান বা বড় ঋণ দেবে না ইত্যাদি ইত্যাদি, আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় খুব সরগরম ভাবে।
সমগ্র জাতির কাছে আমার প্রশ্ন? আমাদের দেশের যেসকল রাজনৈতিক দলগুলো বারবার ক্ষমতায় এসেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টিসহ সবগুলো রাজনৈতিক দলের কর্মক্ষমতা নিয়েই আজকের মুল আলোচনা।
আমি লক্ষ্য করে দেখলাম। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের জন্য কোনো বেতন ভাতার কোনো সুযোগ নেই কখনও। ওরা ক্ষমতায় এসে জনগণের মাথায় লবণ রেখে, জনগণের গাছের বরই খাচ্ছে সারাজীবন। বা যতদিন ক্ষমতায় ততদিন।
এছাড়া এই সকল রাজনৈতিক দলগুলার মোটা অংকের কোনো ফান্ডও নেই। কখনও তা করার চেষ্টাও করেননি তারা । এছাড়া ওরা সরাসরি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে, দেশের সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। আমার কথা হলো যেসকল রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের দেশে আছে তা গুনলে তো অনেক। ওদের মধ্যে এমনও রাজনৈতিক দল আছে। ক্ষমতার বাহিরে থাকলে তারা তাদের অফিস ভাড়াটা পযর্ন্ত ঠিক মতো দিতে পারে না। তারাও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে। এমন ও রাজনৈতিক দল আছে অর্থের অভাবে তাদের অফিসে নেই কোনো দারোয়ান, আয়া বুয়া তো অনেক দূরের কথা।
এদিকে দেখা যায়। বাংলাদেশের আইনে কোনো একটা ব্যাংক বা বীমা করতে গেলেই বাংলাদেশ ব্যাংকে একটা মোটা অংকের টাকা জামানত হিসাবে রাখতে হয়।
অথচ রাজনৈতিক দলগুলার জন্য আজও এমন একটি আইন করা হয়নি কেন? তাদের গ্যারান্টির জন্য। আমার মনে হয় এমন একটি আইন থাকা খুবই জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংক কেন এখনো এমন একটি আইন প্রণয়ন করেনি। যে রাজনৈতিক দলগুলা অর্থাৎ যারা নির্বাচনে অংশ নিবে তাদের জামানত হিসাবে পাঁচ বিলিয়ন বা মিলিয়ন বা কোটি টাকা জামানত রাখতেই হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে হাজার বিশেক টাকা ব্যয় করে একটি দলীয় মার্কার অনুমতি পেলেই একটি রাজনৈতিক হয়ে যায়। এটা তো একদিকে যেমন হাস্যকর অন্য দিকে দুঃখজনক।
জাতীয় নির্বাচন সহ যেকোনো নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে নির্বাচন কমিশনের আইন মতে একটা জামানত জমা দিতে হয়। যা সামান্যই বলা চলে। আমার কথা হলো একজন ব্যক্তি নির্বাচন করলেই একটা জামানত লাগে। তাহলে একটা রাজনৈতিক দলের কেন কোনো জামানত রাখার আইন করা হয়না। বা বাংলাদেশ ব্যাংক করে না। এটা কার স্বার্থে করা হয়না।
অন্য দিকে একটা বড় রাজনৈতিক দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী আছে। ছোট দল গুলোর নেতাকর্মী আছে হাজার হাজার। যেখানে বছরের পর বছর কোনো রকম বেতন পাওয়ার আশা নেই । কোনো রকম ভাতা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে । তাহলে সেইসকল দলগুলোর সাথে কেন চুম্বকের মতো লেগে থাকে নেতাকর্মী গুলো। তার সহজ জবাব হলো ক্ষমতায় আসলে বিভিন্ন ভাবে অর্থ আয়ের সুযোগ পাবে। যাকে এককথায় দালালী বলা হয়। কমিশন বাণিজ্য বলা হয়। রাজনৈতিক দল মানেই কিছু দুষ্ট লোক মিলে একটা সংঘ। এককথায় চোর। চাঁদাবাজ। বাটপার সিটার ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক, এবার বুঝুন। আমরা সারাজীবন কত বড়ো ফারাকে জীবনযাপন করে আসতেছি।
খুব সহজেই বুঝা যায়। রাজনৈতিক দল মানে কি? রাজনৈতিক নেতাকর্মী মানে কি? ক্ষমতায় এসে বিনা পূজিতে ব্যবসা করা। অর্থের মালিক হওয়া। আর আমরা সাধারণ জনগণ সারাজীবন শোষণের শিকার। তাই তো দেশের সাধারণ জনগণ প্রায়সময় আফসোস করে আর বলে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গেলেও সাধারন জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়না কেন? কি করে হবে গো । লাভের গুড় তো সবসময় পিঁপড়ার পেটেই চলে যায়।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
২১/০৯/২০২৪
Leave a Reply