মোঃ হারুন অর রশিদ কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
‘ওই হাওয়াই মিঠাই লগবো গো , হাওয়াই মিঠাই’ সাথে তবলার আওয়াজ ডুম ডুম ডুম.. ৷ ফেরিওয়ালাদের শব্দ শুনেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ভৌ-দৌড়৷ শুরু হয় জটলা। পিতামাতার কাছে শিশুদের বায়না, কিনে দিতেই হবে।
আবহমান গ্রাম বাংলায় অনেক ঐতিহ্য ও স্মৃতি আজও শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ হঠাৎ দেখলে বা মনে হলে ফেলে আসা শৈশবের সময়গুলো চোখের সামনে একপলকে ভেসে উঠে ৷ তেমনি এক ঐতিহ্য নিয়ে এখনো টিকে আছে হাওয়াই মিঠাই।
কটিয়াদী উপজেলাগুলোতে গ্রাম অঞ্চলে এখনো দেখা যায় হাওয়াই মিঠাই এর ফেরিওয়ালাদের ৷ বংশপরম্পরায় এখনো এই পেশা ধরে রেখেছে অনেকেই । একসময় এর সংখ্যা অধিক হলেও বর্তমানে হাতেগোনা কিছু মানুষ এটি টিকিয়ে রেখেছেন৷
কটিয়াদী পৌরসভা কামারকোনা মহল্লার দেখা যায় হাওয়াই মিঠাই এর ফেরিওয়ালাদের। কাঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে দুইপাশে কাঁচের বাক্সে হাওয়াই মিঠাই রাখা৷
এই হাওয়াই মিঠাই চিনি দিয়ে তৈরি হয়৷ মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়৷ গোলাপি রং দিয়ে এর সৌন্দর্য বাড়ানো হয়৷ অনেক ফেরিওয়ালা লাঠির মধ্যে টানিয়ে রাখেন। হঠাৎ দূর থেকে দেখলে মনেহয় আকাশের বুঝি গোলাপি রং ধারণ করেছে।
ফেরিওয়ালা সোহেল মিয়া (৪০) বলেন, অনেক আগের পেশা আমাদের এটা৷ বর্তমানে চিনির দাম বেড়েছে। আগের মতো এখন লাভ হয়না৷ সারাদিন দুই হাজার টাকার মতো বিক্রি হলে ছয় থেকে সাতশো টাকা লাভ থাকে৷ সবদিন তো একরকম হয়না। আবহাওয়া মন্দ থাকলে বেকার সময় কাটাতে হয়৷
পথচারী মিজান মিয়া বলেন,ছোটসময় দৌড়ে গিয়ে এই হাওয়াই মিঠাই খাইতাম৷ এখনো এগুলো দেখে আগের দিনগুলো মনেহয়৷ এখন এগুলো কমে গিয়েছে। মেলাতে দেখা যায় এছাড়াও মাঝেমধ্যে গ্রামে দেখতে পাই৷
Leave a Reply