আমরা কেন মানুষ হতে পারলাম না। প্রতিহিংসা লালন করে অমানবিক হয়ে গেলাম কেন?
অথই নূরুল আমিন
আমরা যেন খুব সহজেই একজন আরেকজনকে জখম করতে সক্ষম হই। সহজেই প্রতারণা, খুন গুম ধর্ষণ ছিনতাই ডাকাতি চুরি হানাহানি আমাদের সমাজে লেগেই আছে। আমরা যেন কারো উন্নয়ন কারো ভালো থাকা মোটেই সহ্য করতে পারি না!
আমরা সবাই যেখানে মানুষ। তাহলে এই যে অসামাজিক বিষয় গুলো কি করে আমাদের সমাজে হচ্ছে। কেন হচ্ছে। এখানে কার লাভ কার ক্ষতি হচ্ছে। আমি তো মনে এই অসামাজিক কাজগুলোতে আমরা সবাই কোনো না কোনো ভাবে লোকসানী হয়েছে যাচ্ছি।
দেখুন আমরা সবাই যেখানে মানুষ। সেখানে কমবেশি ভালো মন্ধ বুঝার সক্ষমতা সবার রয়েছে। আমরা আমাদের সামান্য লাভ চিন্তা করে অন্যজনের জীবনে বিশাল ক্ষতি করে দিচ্ছি। এটা তো কখনও একজন মানুষ করতে পারে না।
প্রাচীনকালের কথা শুনেছি। তখন মানুষের ক্ষতি করত। জঙ্গলের ভয়ানক জীবজন্তু। কিন্তু আজকের সমাজে যে ধরনের হিংসাত্মক কাজকর্ম চলছে। তাতো প্রাচীনকালের সেই সকল গল্পকে হার মানিয়ে দিয়েছে। অবাক লাগে যখন দেখি নিরীহ কোনো পরিবারকে ক্ষমতাবান কোনো পরিবারের সদস্যরা অকারণে তাদের উপর জুলুম করছে। নির্যাতন করছে। অবশেষে সেই ক্ষমতাবান পরিবারের টাকার কাছে থানার ওসিটাও বিকি হয়ে গেছে। মামলাটা নিচ্ছে না আর।
আজকে আমরা এমন এক যাযাবর সমাজে বসবাস করছি। দুর্বল লোকটা আর কোথাও তার প্রাপ্ত বিচারটা পাচ্ছে না। এমনকি শান্তনা দেবার মত কেউ আর পাশে থাকে না। আমরা যদি একবার সবাই ভাবি, আমরা সবাই বাঙালি। আমরা সবাই একই দেশের মানুষ। আমরা সবাই সবার প্রতিবেশি। তাহলে কত সুন্দর হতো আমাদের সমাজটা। আমরা কি একবারও ভেবেছি?
না। ভাবিনি। আমরা সবাই আপন চর্কায় তেল দিচ্ছি। যাক সবাই জান্নামে এরকমটাই ভাবছি। আসলে আমরা আপন চর্কায় তেলের বীজ রোপণের জন্য। আজকে আমরা গোটা জাতি সবাই অসভ্যতা শিখে নিয়েছি। সারাদিন অন্যের ক্ষতিসাধন করাই যেন আমাদের একটা নেশায় আসক্ত।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই লেখাটি আসলে কোনো সম্প্রদায় কে একক ভাবে তুলনা করিনি। আমাদের এই সমাজের সব জায়গায় খারাপ লোকের সংখ্যা যেমন বেশি তেমনি তাদের আধিপত্য ও বেশি। ভুক্তভোগী শুধু নিরীহ মানুষেরা। ভেবে দেখুন আমাদের সমাজে যদি কোনো হানাহানি না থাকত। মারামারি না থাকত। একজন যদি অন্যজনের ক্ষতি না করতাম। তাহলে এই সমাজের সুন্দর একটা বিষয় সবসময় ফুটে উঠতো।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
১৫/১০/২০২৪
Leave a Reply