1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে  হোসেনপুরে আগুনেপুড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক ইউএনও কাজি নাহিদ ইভা বরগুনার সূমী মহিলা মাদ্রাসায় গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরব গিয়ে আড়াই বছরেও সন্ধান পায়নি আত্মীয় স্বজন বিগত আমলে টাকা পাচারের ব্যাপারে দুদক কি করেছে জানা নাই-সৈয়দ তাহসিনুল হক চীনা হাসপাতাল ডিমলায় স্থাপনের দাবি নীলফামারীবাসীর পাকুন্দিয়ায় দাখিল পরীক্ষায় নকলের দায়ে একজন বহিষ্কার নান্দাইলে মাদক, জুয়া ও ইভটিজিং রোধকল্পে উপজেলা নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন

নান্দাইলে ৩ যুগ ধরে বিদ্যালয়ের  দোকান ভাড়া পাচ্ছে ৫৪ টাকা

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১১৬ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির বিশেষ প্রতিনিধি

[ মোটা অংকের টাকা যাচ্ছে চক্রের পকেটে ]

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমীর নিজস্ব জায়গায় গড়ে উঠা ২৬টি দোকান ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে ভাড়া পাচ্ছে ৫৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা।

বিগত ৩৫ বছর (৩ যুগ) যাবত এভাবেই দোকান ভাড়ার টাকা পাচ্ছে অত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।ফলে নামমাত্র দোকান ভাড়া দেখিয়ে ভাড়াটিয়াদের সাথে আতাত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত অসাধু চক্র। তবে বছরের পর বছর নামমাত্র ভাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে ঠকানোর বিষয়ে কেউই মুখ খুলতে নারাজ।

সরজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে, বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমি (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) ৮ একর জমি নিয়ে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলার সর্ব দক্ষিণে সিংরইল ইউপি’র বাকচান্দা বাজারের উত্তর পাশে নিজস্ব বিশাল মাঠের উত্তর পাশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। বাজারের পশ্চিম পাশে প্রধান সড়কের দুই পাশে বিদ্যালয়ের জায়গায় ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে স্থানীয়রা অনুমতি নিয়ে ২৬ টি দোকান ঘর নির্মাণ করে। সর্বোচ্চ ৮১০ ও সর্বনিন্ম ১৮৯ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট পাকা মেঝ টিনের বেড়ার এসব দোকানে কেউ কেউ নিজেরা ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ আবার ৫ বছর মেয়াদের জন্য মোটা অংকের সিকিউরিটি মানি (নিরাপত্তা বন্ধক)নিয়ে অন্যকে দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় মাসিক ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সিকিউরিটি মানি দখলদাররাই নিয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে প্রতিটি দোকান দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে মাসিক ভাড়া আদায় করলেও ঘর মালিক বিদ্যালয়কে প্রতিটি দোকানের মাসিক ভাড়া দিচ্ছেন ৫৪ থেকে ১০৮ টাকা। তার উপর প্রতিটি দোকানেরই আবার মাসিক ভাড়া মোট ৬৩০১২ টাকা বাকি পড়ে আছে। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এ অনিয়ম চলে আসলেও কর্তৃপক্ষ এর কোন সুরাহা করতে পারছেননা। স্থানীয় এসব ব্যবসায়ীদের বারবার তাগাদা দেবার পরও মাসিক ভাড়া বাড়াতে বা তাদের উচ্ছেদ করতে পারছেনা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অত প্রতিষ্টানের ১১ নং দোকানের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, তিনি বিদ্যালয়ে মাসিক ভাড়া বাবদ দেন ৮০ টাকা। অথচতিনি ৫০ হাজার টাকা সিকিউরিটি নিয়ে সোপান আলীর নিকট থেকে প্রতিমাসে ১৭০০ টাকা ভাড়া দিচ্ছেন। এরকম প্রত্যেকটি দোকান মালিক ও ভাড়াটিয়াদের একই অবস্থা। প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম জানান,এখানে দোকান করে ভাড়া নিয়ে যা হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছেনা। অভিভাবক বাবুল মিয়া বলেন,‘আমরা কি বলব,দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবেই চলে আসছে’।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, তিনি সহ প্রতিটি কমিটির সভাপতিও সদস্যগন মিলে অনেক চেষ্টা করেও ভাড়া বাড়াতে বা তাদের উচ্ছেদ করতে পারছেননা। অথচ বিদ্যালয়ের দোকান ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাহিরের লোকজন। সম্প্রতি উপজেলা নিবার্হী অফিসার এখানে এসে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়ে গেছেন।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি