1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

হোসেনপুরে জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রির ধূম।

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৩ বার শেয়ার করা হয়েছে।

আফজালুর রহমান উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের গ্রামাঞ্চল ও পৌর এলাকায় জমে উঠেছে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির ধূম ।
পিঠা-পুলির দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে নানান জাতের পিঠাপুলি তৈরী হয়। বিশেষ করে,শীত মৌসুমে গ্রামগঞ্জে পিঠা তৈরীর ধুম পড়ে যায়। পিঠা শুধু লোকজ খাবার নয়,এর সঙ্গে মিশে আছে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি।আধুনিকতার ছোঁয়ায় পারিবারিক ও সমাজজীবন থেকে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে যাচ্ছে। তবে এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে একশ্রেণির মৌসুমী নারী-পুরুষ ব্যবসায়ী।

সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাপা পিঠা ও চিতল পিঠা শীতের আমেজকে বাড়িয়ে তুলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হাসপাতাল মোড়,পোস্ট অফিস মোড়,খাদ্য গোদাম মোড়, নারায়নডহর বাজার,গোবিন্দপুর, পুমদি, জিনারি, বাকচান্দা বাজার, নতুন বাজার,সহ বিভিন্ন হাট বাজারের অলি-গলিতে রাস্তার ফুটপাতে ও মোড়ে মোড়ে চলছে বাহারী পিঠা বিক্রির ধুম। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতার সংখ্যা বেশি। ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠার আড্ডায় জমে উঠে পিঠার দোকান গুলো ।

গ্রামাঞ্চলের মৌসুমি পিঠার দোকানগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হয় নারীদের মাধ্যমে। সংসারে পুরুষের পাশাপাশি বারতি উপার্জনে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য দিন দিন বেড়েছে নারীদের এই পিঠার দোকান। এতে করে সংসারে কিছুটা হলেও বাড়তি উপার্জন হচ্ছে।

অনেক দোকানে ভাঁপা পিঠার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে চিতই পিঠাও। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। এসব পিঠার স্বাদ পেতে রিকশা-চালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, ছুটির দিনে চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে পরিবারের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যান। এসব পিঠার মধ্যে ভাপা ও চিতই ১০ টাকায় বিক্রি হয়।

পিঠা কিনতে এসে অপেক্ষায় থাকা আতিক মিয়া জানান, শীতের সময় চিতই, ভাপা পিঠা খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে নানা রকম ভর্তা দিয়ে গরম চিতই পিঠার স্বাদই আলাদা। এটা গরমের সময় ততটা খাওয়া যায় না। এ সময় পিঠার জন্য দোকানে সিরিয়াল দেওয়া লাগে।
পিঠা বিক্রেতা তাহের উদ্দিন জানান,শীতে চিতই পিঠার চাহিদা বাড়ে। নানা রকম ভর্তা দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পিঠা খেতে ভিড় লেগে থাকে। একই সঙ্গে ভাপা পিঠাও প্রচুর বিক্রি হয়। শীতের দিনে গরমের যন্ত্রণা থাকে না। লোকজন শান্তি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে খেতে পারে। এ কারণে শীতে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে পিঠা বিক্রি দুই থেকে তিনগুণ বাড়ে।
ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। তিনি ৪ টি চুলায় পিঠা তৈরি করেন। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রির ধূম ।

পিঠা বিক্রেতারা আরও জানান,বছরের এই সময়টা শীতকালীন পিঠার বেচা-বিক্রি বেশি হয়। তাইতো এই সময়ে দোকানিরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারেন। শীত যত বাড়বে তাদের পিঠা বিক্রিও ততো বাড়বে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি