1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে  হোসেনপুরে আগুনেপুড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক ইউএনও কাজি নাহিদ ইভা বরগুনার সূমী মহিলা মাদ্রাসায় গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরব গিয়ে আড়াই বছরেও সন্ধান পায়নি আত্মীয় স্বজন বিগত আমলে টাকা পাচারের ব্যাপারে দুদক কি করেছে জানা নাই-সৈয়দ তাহসিনুল হক চীনা হাসপাতাল ডিমলায় স্থাপনের দাবি নীলফামারীবাসীর পাকুন্দিয়ায় দাখিল পরীক্ষায় নকলের দায়ে একজন বহিষ্কার নান্দাইলে মাদক, জুয়া ও ইভটিজিং রোধকল্পে উপজেলা নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন

‘বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে আবারও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি দায়ী’

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ১২২ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ডেস্কঃ রিপোর্ট

অস্থির ডিমের বাজার, ভোরে আড়তে ভোক্তার অভিযান
ডিমের বাজার অস্থির হওয়ার জন্য তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিকে দুষল বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

শনিবার (২৯ জুন) সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করা হয়। ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে আগেও কয়েকবার তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিকে দায়ী করে বিপিএ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে, প্রান্তিক খামারিরা ডিম উৎপাদন করে কিন্তু দাম নির্ধারণ করে ডিম ব্যবসায়ী সমিতিগুলো। ক্রয়-বিক্রয় রসিদ ব্যবহার করেন না, যার কারণে প্রতিদিন ডিমের দাম ওঠানামা করায়। ডিমের বাজার অস্থির যায়, নেপথ্যে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের আধিপত্য ধরে রাখতে সব ডিম ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে তেজগাঁও ডিম সমিতি ডিমের বাজার নির্ধারণ করে বাজার অস্থির করে তোলে। আবার নিজেদের স্বার্থে ডিমের দাম কমিয়ে তলানিতে নিয়ে আসে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিমের দাম বাড়ানো বা কমানোর জন্য একটা কমন বক্তব্য দেন তারা। যেমন চাহিদা কমে গেছে বা চাহিদা বেড়ে গেছে। শীত, গরম, রমজান, কোরবানি, হরতাল-অবরোধে ডিমের জোগান কম, জোগান বেশি। প্রান্তিক একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.২৯ টাকা। ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা যদি ভোক্তা পর্যায়ের দাম থাকে তবে যৌক্তিক দাম। কিন্তু সেই ডিমের দাম যেভাবে নির্ধারণ হয়। প্রথমে খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করেন, পরে ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় রাতে ডিম পাঠিয়ে দেন, সকালে ফজরের নামাজের পরে তারা মূল্য নির্ধারণ করে সব জায়গায় মোবাইল এসএমএস ও ফেসবুকের মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি বা কমতি দামকে বাস্তবায়ন করে। অন্য সবাই ফলো করে। যেমন- তেজগাঁওসহ কাপ্তান বাজার, সাভার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, স্বরূপকাঠি, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর।

এতে বলা হয়, প্রতিদিন ১০০ ডিমে ১০-২০ টাকা করে কমিয়ে ৭ টাকা প্রতি পিচে দাম নামিয়ে আনে, আবার একই নিয়মে বাড়িয়ে দিয়ে ডিমের দাম প্রতি পিস ১৩ টাকায় উঠিয়ে ফেলে। তারা কম দামে ডিম কিনে ৫ থেকে ৭ দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে দোকান অথবা গোডাউনে রাখে এবং বেশি দিন রাখতে চাইলে কোল্ড স্টোরেজ করে। এতে সারাদেশের ডিম ব্যবসায়ীরা লাভবান, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদক ও ভোক্তা। পরে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে অতি মুনাফা করে। অন্যদিকে উৎপাদক ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খামারি থেকে চার দিন পর পর ডিম ক্রয় করা হয়। খামারি চাইলে অন্য কারো কাছে ডিম বিক্রি করতে পারেন না। একই পাইকারের কাছে ডিম বিক্রি করতে হয়। ঢাকার সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীদের তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে ক্যাশ মেমোর মধ্যে লিখে দেবে সেই দামে কিনতে হয় এবং কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, নিউমার্কেটসহ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে যারা খুচরা ডিম বিক্রি করে তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে ক্যাশ মেমোতে যে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয় তার সেই দামের ওপর নির্ভর করে তাদের ডিম বিক্রি করতে হয়। সারাদেশের খামারি, পাইকারি, খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ওঠা তেজগাঁও ডিম সমিতির নির্ধারিত দামের ওপর নির্ভর করে।

এ বিষয়ে তদন্ত করে শাস্তির আওতায় এনে বাজার অব্যবস্থাপনার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি পক্ষ থেকে কৃষি বিপণন অধিদফতর মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। চাহিদা ও জোগানের উপর ভিত্তি করে প্রতি সপ্তাহে অথবা ১৫ দিন পর পর বাজারে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য বলছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি বলছে, কৃষি বিপণন অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, জাতীয় ভোক্তা,অধিদফতর, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন,বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, কর্পোরেট অ্যাসোসিয়েশন ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে কৃষি বিপণন অধিদফতরকে ডিমের এবং এই মূল্য বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া উচিত। তাহলেই ডিমের বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে, কখনই ডিম মুরগির বাজার অস্থির হবে না। উৎপাদক লাভবান হবে, ভোক্তা ও লাভবান হবে উৎপাদন খরচের বিপরীতে ডিমের ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল স্তরে প্রতিটি ক্রয় বিক্রয় ক্যাশ মেমো রসিদ নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিম ও মুরগির দাম যদি আরও কমাতে হয় তবে অবশ্যই সরকারকে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। পোল্ট্রি ফিড এবং মুরগির বাচ্চার দাম কমিয়ে প্রান্তিক খামারিদের ডিম মুরগির উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। ফিড মুরগির বাচ্চা বিক্রয় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা চলছে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় এনে পোল্ট্রি ফিড এবং মুরগির বাচ্চা সহজলভ্য করতে হবে। সিন্ডিকেট মুক্ত বাজার ব্যবস্থাপনা করতে অবশ্যই কর্পোরেট কোম্পানিগুলা এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে জবাবদিহিতার এনে কর্পোরেট কোম্পানি ও বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা দিয়ে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জামানতবিহীন ঋণ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ডিম ও মুরগির উৎপাদন বাড়াতে হবে, তাহলেই বাজারে স্বস্তি ফিরে

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি