1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কিশোরগঞ্জে অটোরিক্শার ধাক্কায় কলেজছাত্রীসহ নিহত ২ কিশোরগঞ্জে অটোরিক্সার ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুঃ বৈষম্যবিরোধী নেতার কাছে ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়া সেই ইটনা থানার ওসি প্রত্যাহার রূপগঞ্জের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, কিশোরগঞ্জে অভিযুক্ত আটক বাজিতপুর কলেজ ছাত্রদল এর উদ্যোগে এস.এস.সি পরিক্ষার্থীদের পানি ও শরবত বিতরণ করা হয়েছে নান্দাইলে গভীর রাতে বাড়িঘরে সন্ত্রাসী হামলা অস্ত্রের মুখে ভাংচুর ও লুটপাট আহত ১ বাজিতপুরে ইজারাদার ব্যতীত প্রভাবশালী মহলের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও ১০ দিন ব্যাপী লোকজ মেলা উদ্ভোধন নান্দাইলে উপজেলা প্রশাসনের বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন পাকুন্দিয়া বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

লিবিয়ায় দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯২ বার শেয়ার করা হয়েছে।

ওয়াসিম কামাল,লিবিয়া প্রতিনিধি

লিবিয়া দক্ষিণ-পূর্ব মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে এই সপ্তাহে প্রায় ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। বিশৃঙ্খলা-কবলিত উত্তর আফ্রিকার দেশটি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ।

গতকাল রবিবার লিবিয়ার নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কুফরা শহরের একটি খামারে ১৯টি মৃতদেহসহ প্রথম গণকবরটি পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ তাদের ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।

কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করেছে। যেখানে পুলিশ কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের বালিতে খনন এবং কম্বলে মোড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেখা যাচ্ছে।

পূর্ব ও দক্ষিণ লিবিয়ার অভিবাসীদের সাহায্যকারী দাতব্য সংস্থা আল-আবরীন জানিয়েছে, গণকবরে দাফন করার আগে কিছু লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কুফরার নিরাপত্তা চেম্বারের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদিলের মতে, একটি মানব পাচার কেন্দ্রে অভিযান চালানোর পর কুফরায় কমপক্ষে ৩০টি মৃতদেহসহ একটি পৃথক গণকবরও পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, জীবিতরা জানিয়েছেন কবরে প্রায় ৭০ জনকে সমাহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনও ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

লিবিয়ায় অভিবাসীদের গণকবর পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর, কর্তৃপক্ষ রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) দক্ষিণে শুয়ারিফ অঞ্চলে কমপক্ষে ৬৫ জন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর দেশটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে। দীর্ঘকালীন স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও হত্যার পর দেশটি বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায়। তেল সমৃদ্ধ লিবিয়া গত দশকের বেশিরভাগ সময় ধরে পূর্ব এবং পশ্চিম লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার শাসন করছে। প্রতিটি সরকারই মিলিশিয়া এবং বিদেশি সরকারগুলির একটি গোষ্ঠী সমর্থিত।

মানব পাচারকারীরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীলতার সুবিধা পেয়েছে। চাদ, নাইজার, সুদান, মিশর, আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়াসহ ছয়টি দেশের সীমান্ত পেরিয়ে অভিবাসীদের পাচার করছে তারা।

একবার উপকূলে পৌঁছানোর পর পাচারকারীরা ইউরোপে উন্নত জীবনের জন্য মরিয়া অভিবাসীদের ভঙ্গুর রাবারের নৌকা এবং অন্যান্য জাহাজে করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগরীয় পথে পাঠায়।

মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলি বছরের পর বছর ধরে লিবিয়ায় অভিবাসীদের উপর জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের মতো পদ্ধতিগত নির্যাতনের নথিভুক্ত করেছে। পাচারকারীদের নৌকায় করে লিবিয়া ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে প্রায়ই নির্যাতনের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি