তাড়াইল প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। সারা বছর বিভিন্ন খাল বিল নদ-নদী ও ফসলি জমিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন হচ্ছে। এছাড়াও বেকু মেশিন ও খোলা লড়ি ট্রাকে করে মাটি কেনাবেচা রমরমা বাণিজ্য চলছে। এতে ভাঙনের শিকার হচ্ছে শতশত হেক্টর আবাদি জমি, নদীর পাড়ের বসতভিটা।
ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। তাড়াইল উপজেলার খাল বিল নদ-নদীসহ ১৩টি পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন ও শতাধিক খোলা লড়ি ট্রাকে করে মাটি বিক্রি ও বালু উত্তোলন করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাতে করে এলাকার পাকা রাস্তাঘাট ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিরবতায় বালু উত্তোলন ও খোলা ট্রাকে মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ধলা ইউনিয়ন বয়ালিয়া সরকারি ইজারাকৃত বিল থেকে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি বিক্রি করছে, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক নোটিশের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছেন এবং এই বিলে মাটি কাটা হলে যথাযথ আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাটি উত্তলোন করে বিক্রি করছেন অভিযুক্তরা।
সাংবাদিকদের আবু তাহের মরাজ ভূইয়া বলেন, নিজের আবাদি জমি হুমকির মূখে, হাবেল মিয়া, এরশাদ, খাইকুবাদসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বোয়ালিয়া সরকারি বিলে থেকে বেকু মেশিন দিয়ে রাত-দিন বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে একটি চক্র।
তারা আরো বলেন, আমরা এই সরকারি বিল ইজারা দিয়ে রেখেছি এখন যদি মাটি কেটে খাদ তৈরি করে তাহলে আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। দেখার কেউ নেই। বসতভিটা ও আবাদি জমি অনাবাদি হচ্ছে, তাদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকলেও উপজেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।উপজেলা ভূমি সহকারি কমিশনার হাবেল উদ্দিনকে এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
Leave a Reply