নিজস্ব প্রতিবেদক
নিকলীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিলো পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সদরের পশ্চিম কুর্শা এলাকায় গাঁ ঘেঁষে ও দুফসলি ও তিন ফসলি জমির উপর নির্মিত দুটো ইটভাটা। এর একটির নাম মসার্স আলতাফ ব্রিক ফিল্ড। যেটি ১৯৯৮ সালে নির্মিত। অপরটি রাস্তা সংলগ্ন মেসার্স কামাল ব্রিক ফিল্ড। এছাড়াও একই পরিবারের যৌথ মালিকানায় অত্র উপজেলার
জারইতলার ইউনিয়নের বনমালীপুরে মূল রাস্তা ও গাঁ ঘেঁষে দুই ফসলি জমির উপর নির্মিত মেসার্স সামিহা ব্রিক ফিল্ড। পাশাপাশি কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কান্দালীয়ায় দুফসলি জমির উপর নির্মিত শাপলা ব্রিক ফিল্ড। কয়েক বছরের ব্যবধানে এ সকল ইটভাটার সব কটির বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে বলে তথ্য মিলে।
জানা গেছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২২.০২.০০০০.০৭৭.২৭.০০২.২২.৩ স্মারকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারিতে আলতাফ ব্রিক ফিল্ডকে তার ইটভাটা বন্ধের লক্ষ্যে একটি নোটিশ প্রদান করা হয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। উক্ত নোটিশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দুফসি, তিন ফসলি কৃষি জমি ও পরিবেশ বাঁচাতে ইটভাটা উচ্ছেদের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের তথ্যমতে বাকী তিনটি ইটভাটারও শতভাগ বৈধতা নেই। এই তিনটি ইটভাটাও নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী বাকীদের বিষয়েও আইনি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই বিষয়ে ইটভাটা মালিক হাজী রূপালী মিয়ার ভাষ্য তাকে চিঠির মাধ্যমে উচ্ছেদ বিষয়ে কোন কিছু অবগত করা হয়নি। এছাড়াও এটি পরিকল্পিত একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ বলেও তিনি দাবি তোলেন। তাছাড়াও অভিযোগকারীদের পরিচয় অস্পষ্ট বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তার আলতাফ ব্রিকসের আগুনের পারমিশন আছে ৩০ জুন ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এছাড়া ছাড়পত্রও ২০২৪ জুন পর্যন্ত নিয়মিত। চলতি বৎসরের জন্যেও প্রক্রিয়াধীন। অপরদিকে সংলগ্ন কামাল ব্রিকস ও পাশ্ববরতী শাপলার ব্রিকের একাদিক বৎসর যাবৎ কোনো ছাড়পত্র নেই। তাদের আগুনের পারমিশন ও নেই বলে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ বিষয়ে ছাত্র -ছাত্রী অভিযোগকারীদের পক্ষে সুশীল সমাজের একজন অন্যতম অভিযোগকারী নাগরিক সাখাওয়াত হোসেনের এই মোবাইল ০১৭৫৪৮৩২৫৮৫ নাম্বারে কথা হলে তিনি ঢাকা ব্যবসা করেন বলে পরিচয় দেন। এছাড়াও এধরণের অভিযোগের কথাও তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চঃ দাঃ) ড. মুঃ সোহরাব আলী সাক্ষরিত ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ সালের ২২০২.০০০০.০০২.২৭.০১৬.২২-০২ স্মারকে একটি নোটিশে উচ্ছেদ বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে এবং এতে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে জবাবের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
সরেজমিনে ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময়ে সহকারী পরিচালক মোঃ মমিন ভূঁইয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মেহেদী হাসানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়ার জবাবে তাঁরা উল্লেখ করেন, বিধি মোতাবেক তাকে পাঁচ কর্ম দিবসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। উক্ত সময়েও সেই জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের বাস্তবতাও মিলেছে। মালিকপক্ষ অবগত নন এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিষ্ট্রি এডির মাধ্যমেও তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা করেন।
Leave a Reply