1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মাদক নিমূল আলোচনা সভা সাংবাদিকের ভালোবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন,ডেনমার্কের রোমানা মারিয়া হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের ভুয়া সনদে পদোন্নতির অভিযোগ কটিয়াদীতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা নান্দাইলে অসহায় পরিবারের জায়গা দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে 

নান্দাইলে বই ও দৈনিক পত্রিকায় সাড়া ফেলেছে চন্দনের সেুলন

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬২ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির,স্টাফ রিপোর্টার-

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সেলুনে নরসুন্দ সেবা নিতে এসে লাইনে থেকে সময় কাটাতে বই ও দৈনিক পত্রিকা পড়ায় সাড়া ফেলেছে চন্দনের সেলুন। কেউ বসে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ছে, কেউবা চেয়ারের অভাবে দাড়িয়ে পত্রিকা পড়ছে। এভাবেই জমে উঠেছে চন্দনের সেলুনে বিভিন্ন বয়সের লোকজনের ভিড়। এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি শিকার। সেলুনের মালিকের আয়ের পাশাপাশি বই পড়ার মানসিকতাও গড়ে উঠছে এ এলাকার মানুষের। শুধুমাত্র চুল কাটা ও সেভ করতে আসা লোকজনই বই ও পত্রিকা পড়ছে তা নয়, অনেকেই ভালোলাগার বিষয় থেকেও নিজেকে একবার আয়নার সামনে গোছাতে গিয়েও এ সেলুনে এসে বই ও পত্রিকা পড়ছে। তবে সেবা নিতে আসা বই পড়ুয়া যুবকের সংখ্যা বেশী। এতে খুশী সেলুনের পরিচালক চন্দন রবিদাস ও তাঁর সহযোগীরা। জানাগেছে, সেলুনটি নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের বাকচান্দা বাজারে অবস্থিত। পরিচালক চন্দন রবিদাস পাশ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের সরল রবিদাসের ছেলে। বাঁশ ও টিনের একচালায় নির্মিত সেলুন ঘরের কোণায় সেলফের উপর সারি করে রাখা আছে বেশ কিছু বই। পাশেই জড়ো করে রাখা রয়েছে অজস্র পুরাতন পত্রিকা সহ নিয়মিত পত্রিকা। সেলুনের কাজে ব্যস্ত সুভাষ রবিদাস (২২) জানান, সেলুনটি তার মামার। বিএ শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত সুভাষ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মামাত ভাই সৌরভকে নিয়ে তিনি এ সেলুনটি পরিচালনা করছেন। তার মামা ভেবে ছিলেন সেলুনে ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা চালু করতে। কিন্তু সবাই এসে এখানে বসে মোবাইল টিপাটিপি করবে ভেবে কিছু বই কিনে ছোট্ট করে একটি পাঠাগারও গড়ে তুলেন। এরপর ‘আলোর ভূবন পাঠাগার, নামে একটি সংস্থা আরও কিছু বই দেয়। বর্তমানে সেলুনে বিভিন্ন ধরনের প্রায় শতাধিক বই রয়েছে। এদিকে জায়গা বাবদ মালিককে প্রতিমাসে ভাড়া দিতে হয়। তবে ঘরটি আরেকটু বড় হলে পাঠকদের জন্য সুবিধা হত। পত্রিকা পড়তে আসা রিয়াজ উদ্দিন জানান, তাঁর পত্রিকা পড়ার অভ্যাসটা মূলত এ সেলুন থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান মানার জানান, তিনিও নিয়মিত এখানে এসে বই ও পত্রিকা পড়েন। তবে সকালে এবং বিকালে ভিড় একটু বেশি হয়। এ বিষয়ে পাশে থাকা বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমীর (উচ্চ বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, বর্তমান প্রজন্ম মোবাইলের প্রতি আসক্তি বেশি। কিন্তু ওই সেলুনটিতে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বই এবং পত্র-পত্রিকার রাখার উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি