1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নান্দাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ নান্দাইলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাতিজা যুবলীগ নেতা ফারুক গ্রেফতার বাজিতপুরের বলিয়াদীতে অজু খানা উদ্বোধন করেন জামায়াত নেতা অধ্যাপক রমজান আলী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী আকরাম হোসেন নিহত হয়েছে  হোসেনপুরে আগুনেপুড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক ইউএনও কাজি নাহিদ ইভা বরগুনার সূমী মহিলা মাদ্রাসায় গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরব গিয়ে আড়াই বছরেও সন্ধান পায়নি আত্মীয় স্বজন বিগত আমলে টাকা পাচারের ব্যাপারে দুদক কি করেছে জানা নাই-সৈয়দ তাহসিনুল হক চীনা হাসপাতাল ডিমলায় স্থাপনের দাবি নীলফামারীবাসীর পাকুন্দিয়ায় দাখিল পরীক্ষায় নকলের দায়ে একজন বহিষ্কার নান্দাইলে মাদক, জুয়া ও ইভটিজিং রোধকল্পে উপজেলা নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন

“কিশোরগঞ্জে ভূগর্ভস্থ পানির ভয়াবহ সংকট: জনজীবনে চরম দুর্ভোগ, কার্যকর পদক্ষেপের দাবি”

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৮ বার শেয়ার করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানির অপর নাম জীবন”—এই পরিচিত বাক্যটি যেন এখন কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষের জীবনে করুণ এক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক পানি সংকট। এর ফলে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন হাজারো পরিবার।

সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা এবং আশপাশের অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি উপজেলায় এ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সদরের আখরা বাজার, হযবতনগর, হারুয়া এবং বেইশ এলাকার কয়েকটি অংশে দিনদিন বেড়েই চলেছে খাবার পানির চাহিদা ও হাহাকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যেসব বাড়িতে টিউবওয়েল রয়েছে, সেখানে অবস্থা সবচেয়ে করুণ। টিউবওয়েল চাপলেও বের হয় কেবল বাতাস। পানি উঠার নাম নেই। যাদের বাড়িতে মোটরপাম্প রয়েছে, তাদের অবস্থাও খুব একটা ভালো না। অনেকে মোটর চালিয়ে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না। কখনও একটু পানি উঠলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আখরা বাজার এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “আমাদের বাসায় গত এক মাস ধরে মোটরের পানি খুবই কম উঠছিল। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে একেবারেই পানি ওঠে না। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়দের বাসা থেকে পানি এনে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে।”

তবে শুধুমাত্র সদর উপজেলাই নয়, কটিয়াদি, পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, নিকলীসহ অন্যান্য উপজেলার পরিস্থিতিও ভয়াবহ। এসব অঞ্চলের অনেক পরিবার দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিত পানি সংকটে ভুগছে। অনেকে পানির অভাবে স্নান বা কাপড় ধোয়ার কাজ পর্যন্ত করতে পারছেন না।

জানা গেছে, চলতি বছরের শীতকাল পার হওয়ার পর থেকে কিশোরগঞ্জ জেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি। বরং মাটির নিচের পানির স্তর আরও নিচে নেমে গেছে। এর সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং অতিরিক্ত পানির ব্যবহার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। পানির স্তর নিচে নামার পেছনে অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ স্থাপন, কৃষি কাজে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার এবং নতুন বাড়িঘরের নির্মাণকাজে পানির অপচয়কেও দায়ী করা হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। অনেকেই বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও যদি পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়, তাহলে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে।

জেলার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা জানান, “এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন। একদিকে যেমন বিকল্প পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির রিচার্জের জন্য বৃক্ষরোপণ, খাল-বিল সংরক্ষণ এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কার্যক্রম শুরু করা জরুরি।”

পানির সংকট এখন আর শুধুমাত্র কোনো একটি উপজেলার সমস্যা নয়, এটি হয়ে উঠছে সামগ্রিক জেলার বড় চ্যালেঞ্জ। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এই সংকট নিরসনে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় প্রতিদিনের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি